Cancer : প্রস্রাব করার সময় এমনটা ঘটে ? এই সাধারণ বিষয়টি ব্লাডার ক্যান্সারেরও সঙ্কেত
Bladder Cancer : যদি দেখেন কিছু দিন ধরে প্রস্রাবের প্রবাহ আর আগের মতো নেই, বারবার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয় কিন্তু স্বস্তি পাওয়া যায় না, তবে এই লক্ষণগুলিকে হালকাভাবে নেওয়া এক্বেবারেই ঠিক নয়।

প্রস্রাবের রং, নখের রং বা জিভের রংয়ে হঠাৎ বদল ! এগুলো কোনওটাই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এর পিছনে নিশ্চয়ই লুকিয়ে থাকবে কোনও না কোনও কারণ। আর সেই অন্তর্নিহিত কারণহত পারে বিপজ্জনক। শুধু রং বদল নয়, প্রস্রাবের যে কোনও সমস্যাই উপেক্ষা করার মতো নয়, মনে করছেন চিকিৎসকরা। প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে কিডনির সমস্যার সঙ্গে যুক্ত, কিংবা হতে পারে লিভারের কোনও অসুখের ফল অথবা হতে পারে ইউটিআই -এর সমস্যাও। কিন্তু জানেন কি, প্রস্রাবের গতি ধীর হয়ে যাওয়া বা থমকে-থমকে যাওয়া তার থেকেও বড় রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। প্রস্রাবের ধরনে সামান্য পরিবর্তনও কখনও কখনও কোনও গুরুতর রোগের প্রাথমিক ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি দেখেন কিছু দিন ধরে প্রস্রাবের প্রবাহ আর আগের মতো নেই, বারবার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয় কিন্তু স্বস্তি পাওয়া যায় না, তবে এই লক্ষণগুলিকে হালকাভাবে নেওয়া এক্বেবারেই ঠিক নয়। এই ধরনের পরিবর্তন হতে পারে ব্লাডার ক্যান্সারের সঙ্কেত।
প্রস্রাব করার সময় প্রবাহ কমে গেলে কোন ক্যান্সারের সংকেত পাওয়া যায়
ব্লাডারে ক্যান্সার বাসা বাঁধলে প্রস্রাবের প্রবাহ কমে যেতে পারে। ব্লাডার ক্যান্সারের শুরুটা হয় ব্লাডারের কোষ থেকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূত্রাশয় ক্যান্সারের প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ইউরোথেলিয়াল সেল কার্সিনোমা (UCC) ধরনের হয়ে থাকে। এই ক্যান্সার ব্লাডারের পাশাপাশি সেই মূত্রনালী এবং অন্যান্য অংশেও হতে পারে যে যে পথ দিয়ে প্রস্রাব শরীর থেকে বের হয়।
কাদের বেশি ঝুঁকি থাকে?
চিকিৎসকদের মতে, ব্লাডার ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি যাঁরা সিগারেট খান, তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে শরীরে এমন রাসায়নিক জমা হয় যা ব্লাডারের কোষগুলির ক্ষতি করতে পারে। পুরুষদের মধ্যে এই রোগ মহিলাদের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি দেখা যায়। যদিও মহিলা এবং যুবকরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়েই থাকেন।
ব্লাডার ক্যান্সারের লক্ষণ
শরীর অনেক সময় শুরুতে হালকা-হালকা সংকেত দেয়। যেমন প্রস্রাবে রক্ত দেখা যাওয়া, প্রবাহ কমে যাওয়া , প্রস্রাব করার সময় জ্বালা, বারবার প্রস্রাব হওয়া কিন্তু পুরোটা না হওয়া। এই লক্ষণগুলি অনেক সময় ইউরিন ইনফেকশন, বয়স বাড়া বা দৈনন্দিন অভ্যাসের ফলেও হতে পারে। তাই এমন কিছু ঘটলে, আগেই ক্যান্সার বলে ভেঙে পড়বেন না। ইউরোলজিস্ট,ইউরো অঙ্কোলজিস্ট বা ইউরো গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ব্লাডার ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সুবিধে হয়।
Disclaimer: এই তথ্য গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচনা করবেন না। কোনো নতুন কার্যকলাপ বা ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















