Foot Cracks: পা-ফাটার সমস্যা দূর করতে কীভাবে পায়ের যত্ন নেবেন? রইল কিছু সহজ টিপস
Tips to Remove Foot Cracks: পা-ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতেই সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে।
Remove Foot Cracks: রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বক যাঁদের রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকসময়েই মারাত্মক ভাবে পা ফাটার (Foot Cracks) সমস্যাও দেখা দেয়। শীতকালে পা ফাটার সমস্যা বাড়তে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই সারা বছর এই সমস্যা দেখা যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এই সমস্য দূর করা সম্ভব (Tips to Remove Foot Cracks)। শুধু ধৈর্য্য ধরে নিয়মমাফিক কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই পা ফাটার সমস্যা সহজেই দূর হবে। এক্ষেত্রে যাঁদের পা ফাটার সমস্যা রয়েছে তাঁরা কী কী করতে পারেন একনজরে দেখে নিন।
১। পা ফাটার সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে পা পরিষ্কার রাখা বিশেষ করে গোড়ালির অংশ পরিষ্কার রাখা ভীষণভাবে প্রয়োজন। যাঁরা রোজ বাড়ির বাইরে যান, তাঁরা অতি অবশ্যই বাড়ি ফিরে ভালভাবে পা পরিষ্কার করুন।
২। পা পরিষ্কার করার জন্য লিকুইড সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও প্রয়োজন পিউমিক স্টোন। এর সাহায্যেই আলতো হাতে পা ঘষলে বা গোড়ালির অংশ ঘষলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এছাড়াও নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন পা পরিষ্কার করার জন্য।
৩। পা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে গরম জল ব্যবহার করবেন। গরম জলে সামান্য লিকুইড সাবান বা শ্যাম্পু মিশিয়ে ব্রাশ এবং পিউমিক স্টোন দিয়ে ভাল করে পা ঘষে নিলে খুব কম সময়েই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৪। শুধু পা পরিষ্কার করলেই হবে না, পা ময়শ্চারাইজ করাও প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ভাবে পা পরিষ্কারের পর যেকোনও ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার লাগানো প্রয়োজন। যাঁদের পা ফাটার সমস্যা বেশি তাঁরা একটু ভারী বা মোটা বেসের অর্থাৎ খুব পাতলা নয় এমন ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার লাগাবেন।
৫। পা ফাটার সমস্যায় গ্লিসারিন দারুণ ভাবে কাজ দেয়। তাই পায়ের গোড়ালিতে ফেটে যাওয়া অংশে পুরু করে গ্লিসারিন লাগিয়ে দেখতে পারেন। এতে অল্প সময়েই উপকার পাবেন। এর পাশাপাশি ঘরেও চটি পরা অভ্যাস করুন। আর বাইরে বেরোলে পায়ে মোজা থাকলে পা ফাটার সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব হয়।
৬। পা পরিষ্কার করার পর পেট্রোলিয়াম জেলি বা সাধারণ ভাষায় আমরা যাকে ভেসলিন বলি, সেটাও লাগিয়ে রাখতে পারেন। এর সাহায্যেও পা ফাটার সমস্যা কম সময়ে দূর করা সম্ভব। মূলত পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা একবার যদি শুরু হয় এবং তার সঠিক যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে সমস্যা দ্রুত বাড়তে পারে এবং তা কমাতেও অনেক কষ্ট করতে হবে। তাই শুরু থেকেই সাবধানে থাকা প্রয়োজন।