দিল্লি হিংসা: নাম না করে সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ অমিত শাহের
‘দিল্লির হিংসার রাজনীতিকরণের চেষ্টা চলেছে। অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
‘দিল্লির হিংসার রাজনীতিকরণের চেষ্টা চলেছে। অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
‘দিল্লির হিংসায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। দিল্লিতে শান্তি বজায় রাখাই এখন লক্ষ্য।’
‘হোলির পরে আলোচনায় আপত্তি ছিল বিরোধীদের। সংসদ সচল রাখতে বাধা দিয়েছিলেন বিরোধীরা। দিল্লির অশান্তি রুখতে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। দিল্লির অশান্তি রুখতে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অশান্তি বন্ধ করেছে দিল্লি পুলিশ।’
‘অশান্তি রোখার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের মনোবল বাড়াতে পাঠানো হয়েছিল অজিত ডোভালকে। আমার পরামর্শেই অশান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন ডোভাল। দিল্লিতে না থাকলেও, সব খবর নিয়েছিলাম।’
‘আমি চাইনি আমরা নিরাপত্তার দিকে পুলিশের দৃষ্টি ঘুরে যাক। সেই কারণেই দিল্লির হিংসার সময় ঘটনাস্থলে যাইনি।’
‘ফেস আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তির সাহায্যে হিংসায় অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করছে পুলিশ। অশান্তি বাঁধাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে বহিরাগত এসেছিল।’
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরসূচি আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমার কেন্দ্রে তাঁর অনুষ্ঠান ছিল। আমার সেখানে যাওয়ার বিষয়টিও পূর্বনির্দিষ্ট ছিল। পরের দিন যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দিল্লি আসেন, আমি কোনও অনুষ্ঠানে যাইনি। আমি সারাদিন পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছিলাম।’
‘দিল্লির হিংসার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।’
‘জবাব দেওয়া আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনও নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এটা আমি নিশ্চিতভাবে জানাচ্ছি। ৪৯টি অস্ত্র সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শান্তিরক্ষার জন্য ৬৫০ বৈঠক হয়েছে।’
‘চক্রান্ত ছাড়া এত কম সময়ের মধ্যে এত বড় আকারে হিংসা ছড়ানো সম্ভব নয়। চক্রান্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য আমরা মামলা দায়ের করেছি। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
নাম না করে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ অমিত শাহের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে হিংসায় উস্কানি দেওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৬০টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেগুলি ২৬ ফেব্রুয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পিছনে কারা ছিল, সেটা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।’
‘যে ধর্মেরই হোক না কেন, অভিযুক্তদের ছাড় নয়। এমন শাস্তি হবে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’