(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Noida Shooting Range: নয়ডার শ্যুটিং রেঞ্জের নামকরণ হবে ‘শ্যুটার দাদি’ চন্দ্র তোমরের নামে
গত ৩০ এপ্রিল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন চন্দ্র তোমর। মীরাটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
লখনউ: নয়ডার শ্যুটিং রেঞ্জের নামকরণ করা হবে চন্দ্র তোমরের নামে। ‘শ্যুটার দাদি’ নামে পরিচিত চন্দ্র তোমরের নামে শ্যুটিং রেঞ্জের নামকরণের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩০ এপ্রিল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন চন্দ্র তোমর। মীরাটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল চন্দ্র তোমরের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছিল যে, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজন এ কথা জানিয়ে বলেছিলেন, শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চন্দ্র তোমরের প্রয়াণে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেক তারকাই চন্দ্র তোমরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছিলেন। বাঘপতের জোহরি গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্র তোমর রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক মেডেল জিতেছিলেন।
২০১৯-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ষাঁড় কি আঁখ সিনেমায় শার্পশ্যুটার চন্দ্র ও তাঁর বউদি প্রকাশি-র জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছিল। তাঁরা শ্যুট শিখেছিলেন ৬০ বছর বয়সে। পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্যুটিং জগতে নিজেদের পরিচিত গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা। সিনেমায় দেখা গিয়েছিল মুক্কাবাজ সিনেমার অভিনেতা বিনীত কুমার সিংহকে। পরিচালক তুষার হিরানন্দনী।
চন্দ্র তোমর ও তাঁর বউদি ৬০-এর দশকে শ্যুটার হয়ে ওঠার অনুশীলন শুরু করেছিলেন। তিনি ৩০ টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ শ্যুটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
চন্দ্র তোমরের অসামান্য ও অনুপ্রেরণাকর সাফল্যের জন্য তাঁকে নারী শক্তি সম্মান, শ্রম শক্তি সম্মানের মতো পুরস্কারে ভূণিত করা হয়েছিল। বিগ সেলিব্রিটি চ্যালেঞ্জ, সত্যমেব জয়তে-র মতো রিয়েলিটি শো-গুলিতেও তাঁর জীবন কাহিনী দর্শকদের অনুপ্রাণিত করেছিল। এবার নয়ডার শ্যুটিং রেঞ্জ চন্দ্র তোমরের নামে রাখার সিদ্ধান্তের খবরে খুবই খুশি তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁরা এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চন্দ্র তোমরের পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। দাদির ইচ্ছে ছিল, শিশুরা খেলাধুলোয় এগিয়ে যাক। এজন্য বাড়িতেই একটি শ্যুটিং রেঞ্জ তৈরি করেছিলেন। সেখানে গ্রামের শিশুরাও প্রশিক্ষণের সুবিধা পায়।