Sanjay Singh Arrested: দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার AAP সাংসদ
AAP MP Arrested: ধবার সকালেই আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। বাড়িতে তল্লাশির পরে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সাংসদকে।
নয়াদিল্লি: দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi liquor policy case) সাংসদ গ্রেফতার। আম আদমি পার্টির (AAP)-এর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বুধবার সকালেই আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের (Sanjay Singh) বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। বাড়িতে তল্লাশির পরে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সাংসদকে।
সঞ্জয় সিংহ তৃতীয় আপ নেতা (AAP Leader Arrested) যাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে মনীশ শিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর গ্রেফতার হয়েছেন সত্যেন্দ্র জৈন।
এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। এপ্রিলে তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তারপরে তাঁকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
সঞ্জয় সিংহের গ্রেফতারি নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছে তার দল আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। দিল্লির মন্ত্রী এবং আপ নেতা অতিশি মারলেনা বলেন, 'আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এই কাজ হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা আট ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়ি গিয়ে বসে রইলেন। তারপর গ্রেফতার করলেন। প্রধানমন্ত্রীও জানেন, আগামী যে ৪টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে কিংবা ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন তাতে বিজেপিকে ছুড়ে ফেলবে সাধারণ মানুষ।' দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও (Arvind Kejriwal) দাবি, সঞ্জয় সিংহের বাড়িতে কিছু পাওয়া যায়নি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপ নেতা সঞ্জয় সিংহের মা বলেন, 'আমার ছেলে নির্দোষ। কোনও নির্দোষ ব্যক্তিকে এভাবে গ্রেফতার করা খুব অন্যায়। আমার ছেলে সততার সঙ্গে কাজ করে।'
আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতারির ঘটনায় এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর বলেছেন, 'বিজেপি স্পষ্ট বলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে। নাম আম আদমি- কিন্তু কাজ করে খাস আদমির জন্য়।'
আবগারি লাইসেন্স সংক্রান্ত যে আইন এনেছিল দিল্লির রাজ্য সরকার। সেটি ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর আনা হয়েছিল। তারপরেই এই আইন নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। প্রবল সমালোচনার মুখে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওই আইন বাতিল করে দেওয়া হয়।