Ahmedabad Plane Crash: যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই বেশি, ছিলেন প্রচুর বিদেশি নাগরিকও, হটলাইন নম্বর প্রকাশ করল Air India
Air India Plane Crash: Air India জানিয়েছে, AI171 বিমানটিতে একটি ৭৮৭-৮ বিমান।

আমদাবাদ: লন্ডন যাওয়ার পথে সজোরে আছড়ে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান। ডাক্তারদের হস্টেলে সটান ধাক্কা মারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন। এর মধ্যে দুই পাইলট-সহ ১২ জন বিমানকর্মী সওয়ার ছিলেন বিমানে। তাঁদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী এবং বেশ কয়েক জন VVIP যাত্রী বিমানে ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। Air India-র তরফে যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। (Ahmedabad Plane Crash)
Air India জানিয়েছে, AI171 বিমানটিতে একটি ৭৮৭-৮ বিমান। ৩০০ যাত্রী বহনের ক্ষমতা ওই বিমানের। এদিন বিমানটিতে মোট ২৪২ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন। ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিকও সওয়ার ছিলেন বিমানে। পাশাপাশি, কানাডার ১ নাগরিক, পর্তুগালের ৭ নাগরিক সওয়ার ছিলেন বিমানটিতে। যাত্রীদের পরিবারের জন্য হটলাইন নম্বর 1800 5691 444 চালু করেছে Air India. (Air India Plane Crash)
Air India জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে তারা। যেমন যেমন তথ্য় হাতে আসবে, তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে। তবে সংবাদমাধ্যমকে হটলাইন নম্বরে য়োগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ওই নম্বর শুধুমাত্র যাত্রীদের পরিবার ও পরিজনদের জন্য। সংবাদমাধ্য়মের জন্য 9821414954 নম্বরটি প্রকাশ করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানকার নম্বর- 011-24610843, 9650391859.
এদিন সিভিল হাসপাতালের হস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। কমপক্ষে ৫০ জন MBBS পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এদিন দুপুর ১টা বেজে ৩৯ মিনিটে বিমানবন্দর ছাড়ে বিমানটি। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে May Day মেসেজ পাঠান পাইলট। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়েই ডাক্তারদের হস্টেলে ধাক্কা মেরে বিমানটি ভেঙে পড়ে।
এভাবে দুর্ঘটনার জেরে লোকালয়েরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষও মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ পাল্লার যাত্রার জন্য বিমানে প্রচুর জ্বালানি মজুত ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটার পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়।
এদিন দুর্ঘটনাস্থলে জান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, বিমানে ১.৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি মজুত ছিল। তাপমাত্রাও বেশি ছিল অত্যন্ত। ফলে কাউকে বাঁচানোর সুযোগই মেলেনি। দুর্ঘটনা আটকানো যায় না। কিন্তু গুজরাতের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপরতা দেখিয়েছে বলে দাবি তাঁর। Air India-র মালিক টাটা গোষ্ঠী নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে।






















