Amazon: টুইটার-মেটার পর এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের ভাবনা অ্যামাজনের! চাকরি হারাবেন ১০ হাজার
Amazon Lay Off: নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মন্দায় চলছে অ্যামাজন। তাই প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে বসিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছে তাঁরা।
নয়া দিল্লি: টুইটার (Twitter) এবং মেটা (Meta) সম্প্রতি তাঁদের কর্মীদের ছাঁটাই করেছে বিপুল সংখ্যায়। এখন সেই পথেই হাঁটতে চলেছে অ্যামাজন (Amazon)। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই সপ্তাহের শুরুতে টেকনোলজি জায়ান্ট অ্যামাজন ইনক. প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারে।
মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মন্দায় চলছে অ্যামাজন। তাই প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে বসিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছে তাঁরা। ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বড় ই-কর্মাস জায়েন্ট এবার তাদের ডিভাইস অ্যালেক্সার ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করতে চাইছে। তাই মানবসম্পদে খরচ কমানোর বিষয়টি নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাঁরা।
Amazon plans to lay off approximately 10,000 people in corporate & technology jobs as soon as this week, New York Times reported
— ANI (@ANI) November 14, 2022
Job cuts will focus on Amazon’s devices organisation, its retail division and human resources, reports NYT pic.twitter.com/1n6iPcmSJ0
তবে এই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করতে সংবাদসংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন, হোয়াটসঅ্যাপের 'কম্পানিয়ন মোড', একসঙ্গে দুই ফোনে একই অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে অ্যামাজনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে সম্প্রতি একটি মাসিক রিভিউ করেছে অ্যামাজন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন যে এমন কিছু ইউনিট আছে যা একেবারেই লাভজনক নয়। মূলত খুচরো ব্যবসার জায়গায়। তাই সেইসব ইউনিট থেকে কর্মী ছাঁটাই করে খরচ কমাতে চাইছে অ্যামাজন। পাশাপাশি আগামী কয়েক মাসের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ সহ একাধিক দফতরে নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে শুধু আগামী কয়েকমাস নয়, আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি গত বছর থেকেই নিয়োগে রাশ টেনেছিল। অর্থনৈতিক মন্দার মুখেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মত। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানায়, অ্যামাজন ইনকর্পোরেটেড বিশ্বের প্রথম সংস্থা যারা বাজার মূল্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছে ইতিমধ্যেই। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং লাভের অঙ্কের তারতম্যের জেরেই এবার নীতিগত সিদ্ধান্ত বদল করতে চাইছে সংস্থাটি।