Assam School Vandalism: দাউ দাউ করে জ্বলছে, বড়দিন পালনের বিভিন্ন জিনিসপত্র ! বড়দিন পালনের বিরোধিতা করে স্কুলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ বজরং দলের বিরুদ্ধে
Assam School Vandalism: দাউ দাউ করে জ্বলছে, বড়দিন পালনের বিভিন্ন জিনিসপত্র। বড়দিন পালনের বিরোধিতা করে চলল স্কুলে তাণ্ডব। পশ্চিম কার্বি আংলং জেলায় অশান্তির আবহেই বড়দিনের সকালে উৎসবে ছন্দপতন অসমে।

ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, শিবাশিস মৌলিক ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: বড়দিন পালনের বিরোধিতা করে অসমের খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ বজরং দলের বিরুদ্ধে। সাজানো জিনিসপত্র খুলে, ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বজরং দলের সদস্যরা। ওঠে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। বড়দিন পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, রায়বরেলি ও বিদিশাতেও।
দাউ দাউ করে জ্বলছে, বড়দিন পালনের বিভিন্ন জিনিসপত্র। ঘন ঘন উঠছে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি। বড়দিন পালনের বিরোধিতা করে চলল স্কুলে তাণ্ডব। পশ্চিম কার্বি আংলং জেলায় অশান্তির আবহেই বড়দিনের সকালে উৎসবে ছন্দপতন অসমে। নলবাড়ির পানিগাঁওয়ে একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বজরং দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল, সেন্ট মেরি ইংলিশ স্কুল।বড়দিন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সাজানো হয় গোটা স্কুল ও চত্বর।
অভিযোগ, তার বিরোধিতা করে স্কুলে ঢুকে পড়ে বজরং দলের সদস্যরা। অভিযোগ প্রিন্সিপালকে না পেয়ে, ‘জয় শ্রী রাম’ ও 'জয় হিন্দু রাষ্ট্র' স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় ও ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। খুলে ফেলে ছিঁড়ে দেওয়া হয় সাজানো জিনিসপত্র। পরে সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেন বজরং দলের সদস্যরা। স্কুলের অদূরে একটি দোকানেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই দোকানে বড়দিন উদ্ যাপনের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করা হচ্ছিল। সেগুলি রাস্তায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি, বিভিন্ন মলেও হানা দেয় বজরং দল।হিন্দু-মুসলমান, মন্দির-মসজিদ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আর বাগযুদ্ধে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। আর সেই ধর্ম নিয়ে হুমকি-হুঁশিয়ারি-হামলার অভিযোগ ঘিরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল অসম। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সূত্রের খবর, শীতকালীন ছুটির জন্য স্কুল ফাঁকাই ছিল। বজরং দলের সদস্য পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি স্কুলে এসে প্রিন্সিপালের খোঁজ করেন।প্রিন্সিপালকে না পেয়ে দলটি ভাঙচুর চালায়।ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে অসম প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে FIR রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গুয়াহাটি, অসম, বরেলি, উত্তরপ্রদেশ, বিদিশা, মধ্যপ্রদেশ। অসমের পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশের বরেলিতে চার্চের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বজরং দল। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় একটি হোটেলে বড়দিনের পার্টি চলার সময় বাধা দেন বজরং দলের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি।
দীপু দাস খুনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। একটা সময় পুলিশের ব্যারিকেডের উপরে উঠে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। রাজধানীর পর এবার বজরং-দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠল আরও তিন রাজ্যে।






















