বেঙ্গল কেমিক্যালসকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরির ছাড়পত্র রাজ্যের
দু’ধরনের ওষুধ তৈরি হবে-- হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-২০০ ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-৪০০
সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই ও আবীর দত্ত, কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় সুখবর। এবার রাজ্যেই তৈরি হবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। ওষুধ তৈরির ছাড়পত্র পেল বেঙ্গল কেমিক্যালস। করোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী ও আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে, অতি অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি স্বাপেক্ষেই একমাত্র এই ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর ভারত আমেরিকায় হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন রফতানিতে সম্মতি দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যালসকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন তৈরির ছাড়পত্র দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। আবেদন জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল ছাড়পত্র। বেঙ্গল কেমিক্যালস সূত্রে খবর, দু’ধরনের ওষুধ তৈরি হবে-- হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-২০০ ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-৪০০। তবে ওষুধ তৈরিতে সমস্যা দিয়েছে কাঁচামাল জোগান নিয়ে। বেঙ্গল কেমিক্যালস সূত্রে খবর, লাইসেন্স মিললেও কাঁচামাল নেই। কাঁচামালের জন্য এবার কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রকের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আর তা পেলে সামনের সপ্তাহ থেকেই ওষুধ উত্পাদনের ভাবনা। প্রাথমিক লক্ষ্য অন্তত ২ কোটি ট্যাবলেট তৈরি করা। সংস্থার এমডি পি এম চন্দ্রাইয়া বলেন, মুম্বই ও আমদাবাদ থেকে কাঁচামাল আসে, কাঁচামাল পেলে মানিকতলার কারখানায় তৈরি হবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দেওয়া হবে ওষুধ। বেঙ্গল কেমিক্যালস আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত ভারতের প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন তৈরির জন্য বিখ্যাত। এছাড়া অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ অ্যাজিথ্রোমাইসিনও প্রস্তুত হয় এখানে। এবার সেখানে তৈরি হবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এদিকে, করোনা প্রকোপের আবহে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আশ্বস্ত করেছে, দেশে এই ওষুধ পর্যাপ্ত সংখ্যায় মজুত আছে। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় এবার জেলায় জেলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানোর কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৭টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর ও ২২টি চিকিত্সা কেন্দ্রে সাড়ে ৪ হাজার করে ২০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট ও ৫০০ করে ৪০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট পাঠানো হচ্ছে।