Nuclear Bomb : পরমাণু বোমার থেকেও ভয়ঙ্কর, নিঃশব্দ ঘাতকের মতো হানা দেয় এই অস্ত্র! মুহূর্তে সব শেষ
পরমাণু বোমার থেকেও ভয়ঙ্কর, মড়ক লাগিয়ে দিতে পারে সারা দেশে। এই অস্ত্র প্রজন্মের পর প্রজন্মের ক্ষতি করতে পারে।

পরমাণু বোমা । দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলেই আশঙ্কা তৈরি হয় পারমাণবিক বোমা আক্রমণের। বহু দেশের হাতেই আছে পরমাণু বোমা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একবারই তার ব্যবহার করা হয়েছে। সালটা ছিল ১৯৪৫। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ৬ অগাস্ট জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলে আমেরিকা। হিরোশিমাতে বোমা পড়ার এরপর ৮ অগাস্ট নাগাসাকিতে আমেরিকা তার দ্বিতীয় পরমাণু বোমাটি ফেলে। বোমা পড়ার মুহূর্তের মধ্যে দু’ই শহরের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ ঝলসে মরে যায়! চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় আরও অসংখ্য লোক! প্রজন্মের পর প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে যদি পরমাণু বোমা এই ধ্বংসলীলা ঘটাতে পারে, তাহলে আজকের অত্যাধুনিক পরমাণু বোমা কী করতে পারে, তা কল্পনা করলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা পারমাণবিক বোমার থেকেও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে আরেকটি অস্ত্র। জৈব অস্ত্র বা বায়োলজিক্যাল উইপন। একটি দেশকে এক্কেবারে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে জৈব অস্ত্র। ভাইরাস, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া মারফত মানব শরীরে ঢুকে গিয়ে মড়ক লাগিয়ে দিতে পারে সারা দেশে। এই অস্ত্র প্রজন্মের পর প্রজন্মের ক্ষতি করতে পারে।
হু বলছে, জৈবিক অস্ত্র হতে পারে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের মতো অণুজীব। যা মানুষ, প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারপর মৃত্যুমিছিল ঘটাতে পারে। জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এমন একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মৃত্যু ঘটে, সেই সঙ্গে ভেঙে পড়ে অর্থনীতি, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, ক্ষতিগ্রস্থ হয় শৈশব, গর্ভস্থ সন্তানও। জৈবিক অস্ত্র গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সন্ত্রাসী হামলায় এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কারও কারও মতে, এই ধরনের অস্ত্র পারমাণবিক বোমার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। এগুলোকে জৈবিক অস্ত্র বলা হয়। এর জন্য বড় বিস্ফোরণের প্রয়োজন হয় না। আর এগুলো কখন কীভাবে আক্রমণ করবে তা কেউ অনুমানও করতে পারে না। সামরিক বাহিনী, উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঢাল এগুলোকে আটকাতে পারে না। জৈবিক অস্ত্র হল অদৃশ্য ঘাতকের মতো। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা বিষাক্ত পদার্থ কীভাবে মানুষ, প্রাণী বা ফসলকে আক্রমণ করে বলা মুশকিল। একবার তা ছড়িয়ে পড়লে তা আটকানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এগুলি হয়ত বিস্ফোরণ ঘায় না, কিন্তু এর অভিঘাত, বোমার থেকেও ভয়ঙ্কর।
তথ্যসূত্র : ABP News






















