Chandrayaan-3: পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়াই লক্ষ্য, তার আগে বুধবার অগ্নিপরীক্ষায় চন্দ্রযান-৩
ISRO: চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে পালকের মতো অবতরণ করানোই মূল লক্ষ্য ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO-র।
নয়াদিল্লি: আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরই চন্দ্রপৃষ্ঠ ছুঁতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। তার আগে, বুধবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। কক্ষপথ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার নীচে নামতে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের প্রস্তুতি হিসেবেই এই পদক্ষেপ। (Chandrayaan-3)
চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে পালকের মতো অবতরণ করানোই মূল লক্ষ্য ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO-র। সেই লক্ষ্যেই কক্ষপথে ১০০ কিলোমিটার নীচে নামিয়ে আনা হচ্ছে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে। যত নীচে নামবে, ততই বৃত্তাকার হবে কক্ষপথ। এর পর ঘুরপাক খেতে খেতে ক্রমশ নীচে নামবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। চন্দ্রযান-৩ থএকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তার পর পালকের মতো হালকা স্পর্শে ছোঁবে চাঁদের মাটি। শেষে ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার 'প্রজ্ঞান'।
আগামী ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হবে ভারতীয় মহাকাশযানকে। এর আগে বন্ধুর, খানাখন্দে ভরা ওই এলাকায় কোনও মহাকাশযান অবতরণ করেনি। ফলে সেখানে নয়া আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পালকের মতো মাটি ছুঁতে পারলে তবেই তা সম্ভব। তাতে সফল হলে পালকের মতো মহাকাশযানকে চাঁদের মাটিতে নামানো চতুর্থ দেশ হিসেবে গন্য হবে ভারত। আগে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন এই কাজ করে দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3 : চাঁদের বাড়ির আরও কাছে চন্দ্রযান -৩, আরও এক কক্ষপথ পেরিয়ে গেল সোমবার
এই চন্দ্রযান-৩ অভিযান ভারতের জন্য শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত দিক থেকে বা মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, মহাশূন্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং আবিষ্কারের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিযান সফল হলে, মহাকাশ অভিযানের দুনিয়ায় নয়া মাইলফলক তৈরি করবে ভারত।
তবে চাঁদের বুকে অবতরণের প্রক্রিয়াটিই অত্যন্ত জটিল। অবতরণের আগে সরেজমিনে দেখা হবে মাটির উপরকার পরিস্থিতি। নিরাপদ জায়গা বেছে নেওয়া হবে। এর পর পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। চাঁদের মাটিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে 'চন্দ্রযান-৩'। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সফ্টল্যান্ডিংয়ের উপর, যা পৃথিবীতে বসে নিয়ন্ত্রণ করবেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা।
এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ হতে চলেছে কোনও মহাকাশযানের। ৭০ ডিগ্রি অক্ষাংশ ঘেঁষে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান-৩’। এর আগে যত মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে, সবক’টিই মোটামুটি চাঁদের বিষুবরেখার উত্তর বা দক্ষিণ অক্ষাংশের কয়েক ডিগ্রি এদিক-ওদিক করে অবতরণ করেছে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র ‘সারভেয়র-৭’ ১৯৬৮ সালের ১০ জানুয়ারি প্রায় ৪০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ ঘেঁষে অবতরণ করেছিল। সেই মাপকাঠি ছাপিয়ে আরও দক্ষিণে অবতরণের লক্ষ্য রয়েছে ‘চন্দ্রযান-৩’-র।