Rajasthan Covid19 Update: করোনা আক্রান্তের শেষকৃত্যে হাজির ১৫০ জন, সংক্রমিত হয়ে ২১ জনের মৃত্যুর অভিযোগ রাজস্থানে
গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানের খিরভা গ্রাম থেকে আনা হয়েছিল এই কোভিড আক্রান্তের মৃতদেহটি। সেদিনই তাঁর শেষকৃত্যে প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত হয়েছিলেন।
রাজস্থান: দেশজুড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। তার মাঝেই আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ সৎকারের সময় করোনাবিধি মানা হয়নি, তার জেরে গ্রামের প্রায় ২১ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের সিকার জেলার একটি গ্রামে। যদিও সরকারি আধিকারিক সূত্রে খবর, এদের মধ্যে মাত্র চার জন ব্যক্তি ১৫ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন।
সরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানের খিরভা গ্রাম থেকে আনা হয়েছিল এই কোভিড আক্রান্তের মৃতদেহটি। সেদিনই তাঁর শেষকৃত্যে প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। যা একেবারেই কোভিডবিধির বাইরে। বিধিনিষেধ না মানার কারণেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর।
এ বিষয়ে লক্ষ্মণগরের সাব-ডিভিশনাল অফিসার কুলরাজ পিটিআইকে জানিয়েছেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণেই এই মৃত্যু কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্যই এদের মধ্যে ১৪৭টি পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরীক্ষার পরই জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে মাত্র ৩-৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে এবং বাকিরা বার্ধক্যজনিত কারণেই মারা গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সংক্রমণের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
কুলরাজ আরও জানিয়েছেন, এরপরেই ওই গ্রামে স্যানিটাইজেশন অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যা সম্পর্কেও বোঝানো হয়েছে গ্রামবাসীদের। এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের থেকে সহযোগীতাও মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিশেষ কিছুই বলেননি সিকার চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার অজয় চৌধুরী। স্রেফ জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, খিরভা কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসরার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভূক্ত। তিনি প্রথমে এই ঘটনা নিয়ে একটি ট্যুইট করেছিলেন। যদিও পরে তা সরিয়ে নেন। তিনি লিখেছিলেন, 'গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রায় ২০-জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং অনেকেই সংক্রমিত হয়েছে আমাকে বলতে হবে যে ২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন।'