Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৫, হাসপাতালে আরও ৩জনের মৃত্যু !
Delhi Blast Update Death Toll Increase: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে আরও ৩জনের মৃত্যু!

নয়াদিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৫! হাসপাতালে আরও ৩জনের মৃত্যু! লালকেল্লার কাছে গাড়িতে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনন্তনাগ থেকে জাসির বিলাল ওয়ানি গ্রেফতার করা হয়েছে। ড্রোন তৈরিতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। 'লালকেল্লার বিস্ফোরণের চক্রী উমরের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ', উমরের সঙ্গেই হামলার চক্রান্তে জড়িত ওয়ানি, দাবি পুলিশ সূত্রে।
২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর। হরিয়ানা থেকে দিল্লির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও শেষে একেবারে লালকেল্লা পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছে গেছিল দিল্লি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড উমর উন নবির সাদা i20 গাড়ি? দেশের রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে অন্তত ৩৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে একাধিক ছবি। য়া ঘিরে এখন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।কখনও ব্যস্ত রাস্তায়..কখনও একেবারে থানার সামনে! কিংবা ইন্ডিয়া গেটের মতো হাই সিকিওরিটি জোনে.হরিয়ানা থেকে দিল্লি!সেখান থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে সোজা লালকেল্লার পার্কিং লট!বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ঠিক এভাবেই ঘুরে বেরিয়ছিল সাদা i20.যে গাড়ির চালকের আসনে ছিল চিকিৎসকদের 'ফরিদাবাদ মডিউলে'র সদস্য় উমর উন নবি। সন্ধেয় লালকেল্লার কাছে সিগনালে যে গাড়ি বিস্ফোরণে ১৫ জন মানুষের মৃত্য়ু হয়! ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর অর্থাৎ বিস্ফোরণের দিন পর্যন্ত দেশের রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে, অন্তত ৩৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে,
টেরর-ডক্টর মডিউল-এর অন্যতম সদস্য ও বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড উমর-উন-নবির একাধিক গতিবিধি..যা রীতিমতো ভয় ধরানোর মতো। ২৯ ও ৩০ অক্টোবর, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজে,বারবার গাড়িটিকে দেখা গেলেও, ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয় অ্যাকশন মোড!তদন্তকারীদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ওইদিনই, রাত ১১টা ৪৩ নাগাদ, দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের খলিলপুর টোল প্লাজায় উমরের গাড়িটিতে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর, ১০ নভেম্বর অর্থাৎ বিস্ফোরণের দিন রাত ৩টে ৭ নাগাদ দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের KMP এন্ট্রি পয়েন্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় গাড়িটিকে। সকাল ৮টা ০৩ নাগাদ, বদরপুর টোল প্লাজা থেকে দিল্লিতে ঢোকে সেই গাড়ি। তদন্তকারীদের হাতে আসা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ অনুযায়ী, এরপর সকাল ৮টা ৩৭ নাগাদ দিল্লির ময়ূরবিহার থেকে চিল্লা CNG ক্যাম্প হয়ে ফের ৮টা ৫৬ নাগাদ, ফের দিল্লির ময়ূর বিহার এলাকায় দেখা যায় গাড়িটিকে।
শুধু তাই নয়।সূত্রের খবর, একাধিক থানার পাশ হয়ে গিয়েছে উমরের গাড়ি। যেমন বিস্ফোরণের দিন সকাল ৯টা ১৭ নাগাদ, দিল্লির নিজামুদ্দিন থানার কাছ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে, সাদা i20 গাড়িটিকে দেখতে পাওয়া যায়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছুঁয়ে গেছে এই গাড়ি..প্রশ্ন উঠছে, যেখানে মাত্র এক দিন আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে এতবড় মডিউল ধরা পড়েছিল, তারপরও কীভাবে দিল্লির একাধিক এলাকায় নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায় উমর? তদন্তকারীদের হাতে আসা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ অনুযায়ী, এরপর দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে, লালকেল্লার কাছাকাছি পার্কিং লটে দেখা যায় গাড়িটিকে। তারপর প্রায় ঘণ্টা তিনেক এই পার্কিং লটেই দাঁড়িয়েছিল i20 গাড়িটি। আর এখানেই প্রশ্ন,পুলিশি ধরপাকড়ের খবরে উমর যদি পালিয়েই থাকত, তবে দিনভর দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কেন বেরিয়েছিল সে? বিস্ফোরক বোঝাই করে কেন দিল্লি সফরে বেরিয়েছিল উমরের গাড়ি? তবে কি বিশেষ কারও নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিল সে? তা-ই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।





















