DRDO Anti Tank Missile:ভারতীয় বাহিনীর হাতে নয়া অস্ত্র, সফল উৎক্ষেপণ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র ‘হেলিনা’-র
শত্রুপক্ষের চলমান বা দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাঙ্ক ও সশস্ত্র সেনাবাহী গাড়ি ও অন্য নিশানা করতে পারে হেলিনা।ডেজার্ট রেঞ্জে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া হল এই ক্ষেপণাস্ত্র।
নয়াদিল্লি: ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে নতুন অস্ত্রসম্ভার। দেশে তৈরি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘হেলিনা’-র সফল পরীক্ষা হল পশ্চিমের মরুভূমিতে। সেইসঙ্গে শেষ হল এর পরীক্ষার পর্ব। সেই অস্ত্র এখন সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রসম্ভারের সামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনীতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘হেলিনা’। আর বায়ুসেনা বাহিনীতে নাম ‘ধ্রুবাস্ত্র’। শত্রুপক্ষের চলমান বা দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাঙ্ক ও সশস্ত্র সেনাবাহী গাড়ি ও অন্য নিশানা করতে পারে হেলিনা। ডেজার্ট রেঞ্জে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া হল এই ক্ষেপণাস্ত্র।
এই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) ছোঁড়া হয় কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার বা মাটিতে কোনও বিশেষ কেরিয়ার থেকে। দেশের সশস্ত্র বাহিনী একটি অত্যাধুনিক এটিজিএম-এর প্রয়োজন অনুভব করছিল। ‘হেলিনা’ সেই প্রয়োজন পূর্ণ করল।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরোয়ার্ড ফ্লাইং হেলিকপ্টার থেকে চলন্ত নিশানাকে লক্ষ্য করে এই পরীক্ষা করা হয়।
ন্যূনতম ও সর্বাধিক পাল্লায় ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা পর্যালোচনার জন্য পাঁচটি মিশন চালানো হয়েছে। ডিআরডিও জানিয়েছে, এরমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা হয়েছে পরিত্যক্ত ট্যাঙ্ককে নিশানা করে। সঙ্গে ছিল ওয়ারহেডও।
‘হেলিনা’ তৃতীয় প্রজন্মের লঞ্চের আগে লক-অন ফায়ার-অ্যান্ড-ফরগেট এটিজিএম, যা সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। সেইসঙ্গে টপ-অ্যাটাক মোডেও কাজ করে। অর্থাৎ, ছোঁড়ার পর আর কোনও ইউজার গাইডেন্সের প্রয়োজন হয় না। ছোঁড়ার পর নিজে থেকেই লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে আঘাত হানতে পারে।
দিন বা রাত, যে কোনও সময়ই নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পারে লক্ষ্যবস্তুকে।