করোনা আবহে সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগ হাওড়ার বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে!
পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে, কোভিড-বিধি মেনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল, দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, অনলাইনে পড়া বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় তাঁরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। কী ভাবে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সুনীত হালদার, হাওড়া: করোনা আবহে সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগ উঠল বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, স্কুলের তরফে মেসেজ করে ক্লাসে যোগ দিতে বলা হয়। ক্লাস চলাকালীন ব্যাঁটরা থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়। পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে, কোভিড-বিধি মেনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল, দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, অনলাইনে পড়া বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় তাঁরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। কী ভাবে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
করোনা আবহে সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলে চলল বাচ্চাদের ক্লাস। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য হাওড়ার কদমতলায় বোধোদয় নামে একটি প্রাইমারি স্কুলে। আজ, বুধবার সকালে প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে ঢোকে ক্লাস করতে। সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের এসএমএস করে ক্লাসের কথা জানায়। ক্লাস চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দাদের তা নজরে এলে তারা ব্যাঁটরা থানায় খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ এসে ক্লাস বন্ধ করে দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় রায় জানিয়েছেন বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও তাদের অঙ্ক এবং ইংরেজি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তাদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য স্কুলে ক্লাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন কোভিড প্রটোকল মেনে যাবতীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্কুল খোলা নেই তবে কোচিং ক্লাসের মত করে বাচ্চাদের পড়ানো হচ্ছে। এভাবে স্কুল খোলা ভুল হয়েছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, অনলাইনে বাচ্চাদের পড়া বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তারা স্কুলে বাচ্চাদের পাঠিয়েছেন। তবে এর থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা স্বীকারও করে নেন। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে তারা।