Kunal Kamra: কৌতুক শিল্পী কুণাল কামরার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা, সরে দাঁড়ালেন প্রধান বিচারপতি
CJI DY Chandrachud: মামলা দায়ের হওয়ার পরও ক্ষমা প্রার্থনায় রাজি হননি কুণাল।
নয়াদিল্লি: কৌতুক শিল্পী কুণাল কামরার (Kunal Kamra) বিরুদ্ধে দায়ের আদালত অবমাননার মামলা (Contempt Case) থেকে সরলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। ২০২০ সালে একটি আত্মহত্যা মামলায় নাম জড়ায় সর্বভারতীয় স্তরের এক সাংবাদিকের। সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান ওই সাংবাদিক। তা নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন কুণাল। তার ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় (Supreme Court)।
আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্যুইট করে মামলায় নাম জড়ায় কুণালের
ওই সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই, সেই সময় যদিও প্রধান বিচারপতি হননি তিনি। তবে ওই মামলার ভিত্তিতেই আদালত অবমাননা মামলা দায়ের হওয়ায়, তার শুনানি থেকে নাম তুলে নিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি প্রধান বিচারপতি বলেন, “যে ডিভিশন বেঞ্চে আমি নেই, সেখানে এই মামলা পাঠানো হবে। কারণ আমার রায় দেওয়া মামলা নিয়েই মন্তব্য এসেছিল।” দুই সপ্তাহ পর হবে মামলার শুনানি।
পেশায় আর্কিটেক্ট অন্বয় নাইক এবং তাঁর মায়ের আত্মঘাতী হওয়ার মামলায় দু’বছর আগে ওই সাংবাদিকের নাম জড়ায়। গ্রেফতার হন তিনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে জামিব পেয়ে যান তিনি। সেই সময় মহারাষ্ট্র সরকারকেও একহাত নেয় শীর্ষ আদালত। তা নিয়ে ট্যুইটারে সরব হয়েছিলেন কুণাল। তাতে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Budget 2023-'24: ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ, বাড়তে চলেছে করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা! বাজেটের আগে তুঙ্গে জল্পনা
তবে মামলা দায়ের হওয়ার পরও ক্ষমা প্রার্থনায় রাজি হননি কুণাল। তাঁর সাফ যুক্তি ছিল, তিনি রসিকতাই করেছিলেন, চুটকি লিখেছিলেন, যা সমালোচনা বলে মনে হয়েছে অনেকের। রঙ্গ-রসিকতা মোটেই বাস্তবিক নয়, বাস্তবিক বলে দাবিও করে না। তবে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা দুর্বল করে করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওই ট্যুইট করেননি বলেও জানান কুণাল।
নিজের ট্যুইটের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনায় রাজি হননি কুণাল
কুণালের বক্তব্য ছিল, “চুটকির জন্য ঢালের প্রয়োজন নেই। কৌতুক শিল্পীর ভাবনার উপর নির্ভব করে বিষয়টি। বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা টলিয়ে দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।” কুণাল আরও বলেন, “বহু আদালতের বহু রায়ের সঙ্গেই একমত হতে পারি না আমি। তবে আমার মনে হয় না যে , বিচারপতি বা কোনও কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রসিকতা করলেই তাঁরা দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে পড়বেন।”