DGCA Update: উড়ানের আগে অ্যালকোহল পরীক্ষা বিমানকর্মীদেরও, নির্দেশিকা ডিজিসিএ-র
DGCA Update: অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে সম্প্রতি ফের স্বাভাবিক হয়েছে বিমান পরিবহণ পরিষেবা। বিমানে যাত্রীদের ভিড়ও বাড়ছে। তাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: উড়ানের আগে এ বার অ্যালকোহল পরীক্ষার (Alcohol Test) ধাপ পেরোতে হবে বিমানের ককপিট এবং কেবিন কর্মীদেরও। অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থার (DGCA) তরফে নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল সমস্ত বিমান সংস্থাকে। উড়ানের আগে ককপিট এবং কেবিন কর্মীদের ৫০ শতাংশের অ্যালকোহল পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে।
উড়ান প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলির জন্যও নির্দেশিকা ডিজিসিএ-র
মঙ্গলবার ডিজিসিএ-র তরফে ওই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে বাণিজ্যিক বিমানের ককপিট এবং কেবিন কর্মীদের (Cabin Crew) পাশাপাশি উড়ান প্রশিক্ষণ (Flying Training Institutes) কেন্দ্রগুলিকেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রশিক্ষকদের ৫০ শতাংশ এবং শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশের অ্যালকোহল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। প্রতিদিন উড়ানের আগে নিয়ম করে তাঁদের অ্যালকোহল পরীক্ষা করতে হবে।
অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে সম্প্রতি ফের স্বাভাবিক হয়েছে বিমান পরিবহণ পরিষেবা। বিমানে যাত্রীদের ভিড়ও বাড়ছে। তাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। এ বছর ২৭ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো হয়েছে। অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা যদিও তার ঢের আগে, ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবরেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Fake Covid Vaccine: কোভিড টিকার বদলে রোগীকে স্যালাইন ইঞ্জেকশন, হাতেনাতে গ্রেফতার চিকিৎসক
অতিমারি নিয়ন্ত্রণে আসতেই নির্দেশিকা ডিজিসিএ-র
অতিমারির প্রকোপ যখন তুঙ্গে, ২০২০ সালের ২৯ মার্চ অ্যালকোহল পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ব্রিদ অ্যানালাইজারের পরীক্ষা বাতিল করে। পাইলট, কেবিল কর্মী, গ্রাউন্ড স্টাফ, এয়ার ট্রাফিক কন্রোলার সকলের জন্যই নয়া নিয়ম কার্যকর হয়, যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। পরে তাতে সংশোধন ঘটিয়ে ক্রু সদস্য এবং কেবিন কর্মীদের জন্য পরীক্ষা চালু রাখতে বলা হয়।
কিন্তু এ বছরের গোড়ায় কোভিডের প্রকোপ তুঙ্গে উঠলেও, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবার দেশে নতুন করে ১ হাজার ২৫৯ জন কভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। এই মুহূ্র্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ০।০৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশে রয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ হার ০.২২ এবং সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ০.২৫ শতাংশে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ১৮৩ কোটি ৫৩ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে।