Kashmir Situation Update: খুলছে বাজার-দোকান, জারি সেনার নজরদারি; ছন্দে ফিরছে উপত্যকা
Kashmir Situation Update: আরও একটা শান্ত রাত কাটল জম্মু কাশ্মীরে। সেনা সূত্রে খবর, গতকালও শেলিং বা ড্রোন-হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ব্ল্যাকআউট হয়নি।

কলকাতা: ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির পর এবার ছন্দে ফিরছে উপত্যকা (Kashmir Situation Update)। ধীরে ধীরে খুলছে বাজার-দোকান স্কুল-কলেজ। চলছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর নজরদারি। কাল থেকে খুলছে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়।
স্বাভাবিক হচ্ছে কাশ্মীর: আরও একটা শান্ত রাত কাটল জম্মু কাশ্মীরে। সেনা সূত্রে খবর, গতকালও শেলিং বা ড্রোন-হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ব্ল্যাকআউট হয়নি। সীমান্ত লাগোয়া এলাকা ছাড়া বাকি সব জায়গায় সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ খুলে যাচ্ছে আজ থেকেই। শ্রীনগরে দোকানপাট খুলেছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। শ্রীনগর বিমানবন্দরও আজই খোলার সম্ভাবনা। আগামীকাল থেকে খুলছে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়।
পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আঘাত হেনে ভারতীয় সেনাবাহিনী গোটা বিশ্বের কাছে তাদের দক্ষতা-দমেরও প্রমাণ দিয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ভারতের সমর-বিক্রমে যখন তথৈবচ অবস্থা পাকিস্তানের তখন বিকেলে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করেছে ভারত ও পাকিস্তান। গত কয়েকদিনে পাক সেনার ছোড়া গোলায় জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরিতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে পাক মর্টার, আর্টিলারি গান থেকে ছোড়া তাজা গোলা। অসামরিক এলাকা থেকে ওই সমস্ত জিনিস পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাজা গোলা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নতুন করে গোলাগুলি বা ড্রোন হামলা না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে উপত্যকার মানুষ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। সেফ হাউস থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। পাক সেনার ছোড়া গোলায় সীমান্ত লাগোয়া বহু বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে একটি বাড়ি থেকে ৩৬ কেজিরও বেশি ওজনের মর্টার উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।
এদিকে গতকাল পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন 'অপারেশন সিঁদুর' শেষ হয়নি, স্থগিত হয়েছে মাত্র। বুঝিয়ে দিলেন পাকিস্তানের শুধরোচ্ছে কিনা, তার ওপরই নির্ভর করছে মার থামবে কিনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "আগামী দিনে, পাকিস্তানের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ আমরা নজরে রাখব এবং দেখব তাঁরা কোন নীতিতে চলে। ভারতের তিন সেনা- বায়ুসেনা, সেনা ও আমাদের নৌবাহিনী ও আমাদের সীমান্ত বাহিনী, বিএসএফ, আধা সেনারাও সতর্ক আছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' ও 'এয়ারস্ট্রাইক'-এর পর 'অপারেশন সিঁদুর'ই ভারতের নতুন নীতি।''






















