Kasba Promoting Clash : প্রোমোটিং বিবাদের জেরে কসবা এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আহত একাধিক
রবিবার রাতে দুষ্কৃতীরা শুধু ভাঙচুরই চালায়নি। এলাকার বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরও হামলা চালিয়েছে। যুবকদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের পাশাপাশি মহিলাদেরও রেয়াত করেনি তারা।
হিন্দোল দে, কলকাতা : প্রোমোটিং বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কসবায়। বোসপুকুর রোডে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালাল দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত বেশ কয়েকজন। জমি ছাড়তে না চাওয়ায় হামলার অভিযোগ। হামলাকারীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কলকাতা পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ১৩০ নং বোসপুকুর রোডের ঘটনা। রবিবার রাতে কসবা থানার অন্তর্গত ওই এলাকায় রবিবার রাতে একদল দুষ্কৃতী এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাণ্ডবের পাশাপাশি ভাঙচুরও চালায় তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ১৩০ নং বোসপুকুর রোড অঞ্চল। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার রাতে দুষ্কৃতীরা শুধু ভাঙচুরই চালায়নি। এলাকার বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরও হামলা চালিয়েছে। যুবকদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের পাশাপাশি মহিলাদেরও রেয়াত করেনি দুষ্কৃতীরা। একজন বয়স্ক মহিলার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তারা। দুষ্কৃতীদের এই হামলা ও আক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে ১৩০ নং ওয়ার্ড বোসপুকুর রোডের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দুষ্কৃতীরা অনেকদিন ধরেই এলাকাটিতে প্রোমোটিংয়ের করতে চায়। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এলাকায় প্রোমোটিং করার জন্য আক্রান্ত পরিবারগুলো জানাচ্ছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীদের বক্তব্যে সহমত হচ্ছিলেন না এলাকার বাসিন্দারা। সেই কারণেই প্রধাণত বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা।
সূত্রের খবর, রবিবার রাতে দুষ্কৃতীরা একের পর এক বাড়ি ভাঙচুর চালাতে থাকে। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর থেকে বাসিন্দাদের মারধর, কোনও কিছুই বাদ রাখেনি দুষ্কৃতীরা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে কসবা থানার পুলিশ আসলে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে চলে যায় বলে জানা যাচ্ছে। এলাকায় সকাল থেকেই পুলিশ পোস্টিং রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে FIR-ও করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যেহেতু দুষ্কৃতীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি, তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করছেন, এই ধরনের আক্রমণ ফের তাঁদের উপর হতে পারে। যদিও পুলিশ গোটা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।