Mithun Chakraborty: মিঠুনকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ হাইকোর্টের,প্রয়োজন নেই সশরীরে হাজিরার
হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কলকাতা: পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ মিঠুন চক্রবর্তীকে। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সশরীরে হাজির হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় মিঠুন হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের দায়ের করা এই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মিঠুন চক্রবর্তী হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে বলেছিলেন যে, ভোটের প্রচারের সময় তিনি যা বলেছিলেন, সেগুলি সিনেমার সংলাপমাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি এ ব্যাপারে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নন।
মানিকতলা থানায় দায়ের করা এফআইআরে অভিযোগ করা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হয়ে ভোটের প্রচারে ব্রিগেড সমাবেশে 'মারবো এখানে লাশ পড়বে শশ্মানে', 'এক ছোবলেই ছবি'-র মতো সংলাপ ব্যবহার করেছেন। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, এই সংলাপগুলি রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার একটি কারণ।
মিঠুন চক্রবর্তী শিয়ালদা আদালতে অতিরিক্ত প্রধান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় প্রক্রিয়া খারিজের আর্জি জানান হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল। কিন্তু মেয়াদের মাঝপথেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন। এরপর ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ভোটের সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন তিনি। অনেক রোড শো ও সভা-সমাবেশ করেন তিনি। তারকার মেগা প্রচারে বিভিন্ন সভায় তাঁর মুখে শোনা যায় সিনেমার জনপ্রিয় সংলাপ। এবার ভোটের পরই এই ধরনের কিছু সংলাপের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।