Pakistan Temple Attack: পাকিস্তানের মন্দিরে হামলা, ভেঙে ফেলা হল মূর্তি !
বুধবারই নিজের ট্যুইটারে হ্যান্ডেলে মন্দিরে হামলার ভিডিয়ো পোস্ট করেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সাংসদ রমেশ কুমার ভঙ্কওয়ানি। প্রশাসনকে এই হামলা রোখার আবেদন করেন তিনি।
ইসলামাবাদ : ফের পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটল। পঞ্জাব প্রদেশে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের একাংশ। ভেঙে ফেলা হয়েছে মূর্তি। উত্তেজিত জনতা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রহিমা ইয়ার খান জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে উত্তেজিত জনতা মন্দিরের ঢুকে হামলা চালায়। যে ভোঙ্গ শহরে হামলা হয়েছে, তা লাহোর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষে পাকিস্তান রেঞ্জারসকে খবর দিতে হয়।
বহু দশক ধরে ভোঙ্গে-তে শান্তিতে একসঙ্গে বাস করে হিন্দু-মুসলিমরা। গত সপ্তাহে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, আট বছরের এক শিশু মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে প্রস্রাব করতেই যাবতীয় অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে হিংসার আগুন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবারই নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মন্দিরে হামলার ভিডিয়ো পোস্ট করেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সাংসদ রমেশ কুমার ভঙ্কওয়ানি। প্রশাসনকে এই হামলা রোখার আবেদন করেন তিনি। একাধিক ট্যুইটে ভঙ্কওয়ানি লেখেন, ''মন্দিরে হামলা রুখতে ঢিলেমি দিয়েছে পুলিশ, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এখনও এলাকায় টেনশন রয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন। অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাচ্ছি।''
এ বিষয়ে স্থানীয় জেলা পুলিশ আধিকারিক আসাদ সরফরাজ জানান, ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তেজিত জনতাকে। পাকিস্তান রেঞ্জার্সদের আনা হয়েছে মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সরফরাজ বলেন, ''এলাকায় কমপক্ষে ১০০ হিন্দু পরিবারের বাস। প্রথমে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়াই প্রশাসনের কাজ। এখন সেই কাজই চলছে।''
মন্দির ধ্বংসের বিষয়ে ভঙ্কওয়ানি জানান- ইট, পাথর , লাঠি হাতে নিয়ে মন্দিরে ঢোকে হামলাকারীরা। ভেঙে ফেলা হয় মূর্তি। এদিকে গত সপ্তাহে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিশুকে। নাবালক হওয়ায় পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।