মধ্যস্থ আজম খান, পিছু হটে অখিলেশ, রামগোপালের বহিষ্কার প্রত্যাহার মুলায়মের
নয়াদিল্লি: ছেলের সঙ্গে সংঘাতে নেমে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হল মুলায়ম সিংহ যাদবকে। তাঁর ঘোষণা করা প্রার্থীতালিকা না মেনে পাল্টা প্রার্থী তালিকা দেওয়ায় গতকাল ছেলে অখিলেশ সিংহ যাদব ও দলের সাধারণ সম্পাদক রামগোপাল যাদবকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সমাজবাদী পার্টি (সপা) থেকে বহিষ্কার করেন মুলায়ম। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না যেতেই দুজনের বহিষ্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। মুলায়ম-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিবপাল যাদব বহিষ্কারের পদক্ষেপ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।
শিবপাল ট্যুইট করেন, নেতাজি (মুলায়ম)-র নির্দেশে অখিলেশ, রামগোপালের বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হল। আমরা সবাই জোট বেঁধে সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলা করে উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ব।
বাবা, ছেলের পারিবারিক বিবাদ গতকাল চরম মোড় নিয়েছিল। অখিলেশ কী করবেন, সেদিকেই নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। দুজনের বিরোধে শুরু থেকেই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নামা আজম খান এদিন ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি অখিলেশকে নিয়ে মুলায়মের বাসভবনে হাজির হন সকালে। ঘণ্টাখানেকের বেশি তাঁকে মাঝখানে রেখে কথা হয় মুলায়ম, অখিলেশের। তারপরই অখিলেশ, রামগোপালের বহিষ্কার তুলে নেন মুলায়ম।
রাজনৈতিক মহলের খবর, ,সম্ভবত দলে অখিলেশের দিকে পাল্লা ভারী রয়েছে টের পেয়েই সুর নরম করেন মুলায়ম। গতকাল ছেলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন তিনি। দলকে দুর্বল করার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলেন অখিলেশ, রামগোপালকে। এও বোঝাতে চান, রামগোপালের পাল্লায় পড়ে বিগড়ে যাচ্ছেন অখিলেশ। শিবপালকে পাশে বসিয়ে বলেন, দলকে বাঁচাতে চাই আমরা। কাউকে সাজা দেওয়া একমাত্র উদ্দেশ্য নয় আমার। কিন্তু দলটাকে বাঁচাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। দলটাকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কিন্তু আজম তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর পিছু হটতে থাকেন। কেননা আজ সকালে অখিলেশ দল থেকে বহিষ্কারের পর নিজের ৫ কালিদাস মার্গের সরকারি বাসভবনে যে বৈঠক ডাকেন, সেখানে হাজির হন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলীয় বিধায়করাই। ২২৯ জন সপা এমএলএ-র ২০০-র বেশি অখিলেশের বৈঠকে ছিলেন, এছাড়াও অখিলেশপন্থী কিছু বিধান পরিষদ সদস্য ও প্রথম সারির নেতাও সেখানে ছিলেন।