ভারত এক অনন্য সংসদীয় গণতন্ত্র, যেখানে প্রশ্ন করার অনুমতি নেই, খোঁচা চিদম্বরমের
লাদাখ নিয়ে গতকাল সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ...
নয়াদিল্লি: লাদাখ নিয়ে গত কাল সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু সেই বিবৃতির ভিত্তিতে বিরোধীদের সংসদে প্রশ্ন করার কোনও সুযোগ দেয়নি শাসক শিবির। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর কটাক্ষ, এ এক অনন্য সংসদীয় গণতন্ত্র, যেখানে প্রশ্ন করা মানা!
লোকসভায় বক্তব্যের শেষে রাজনাথ সিংহ একজোট হয়ে সেনাদের পক্ষে থাকার একটি প্রস্তাব পাশ করার অনুরোধ করেন সকলের কাছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্য, গোটা দেশ যে তাঁদের পাশে রয়েছে সীমান্তে প্রহারারত সেনাদের কাছে যেন সেই বার্তা পৌঁছয়।
সব দলই সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে বলার জন্য স্পিকারের কাছে অনুরোধ করেন। কিন্তু স্পিকার তা খারিজ করে দেন। এরপরই সভা থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস এবং তারা সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধী মূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায়।
সরকারের এই মনোভাব নিয়ে চিদম্বরমের টুইট, ’’ভারতবর্ষে আজ এক অদ্বিতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র, যেখানে প্রশ্ন করার এবং বিতর্কের কোনও অনুমতি নেই।‘‘
সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়েছে, লকডাউনে কত জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। এ নিয়েও নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
তার টুইট, ’’ভারতবর্ষে আজ এক অদ্বিতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র যেখানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বা বহু কষ্টে বাড়ি ফেরার পর কত জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেলেন, তার কোনও তথ্য সরকারের কাছে থাকে না।‘‘
भारत आज एक अनूठा संसदीय लोकतंत्र बन गया है,जहां कोई प्रश्न नहीं पूछा जा सकता और जहां कोई बहस की अनुमति नहीं है। भारत आज एक ऐसा अनोखा देश बन गया है, जहाँ ऐसे प्रवासियों का कोई डेटा नहीं है, जो घर वापस आने के बाद लंबे समय तक घर पर रहे या मर गए।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) September 15, 2020
অর্থনীতি নিয়েও মোদী সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর টুইট-খোঁচা, ’’ভারতে আজ এক অনন্য অর্থনীতি, যেখানে জিডিপি-র ১.৭ শতাংশ টাকা বা খাদ্যশস্য আমজনতার জন্য বরাদ্দকে ’স্টিমুলাস প্যাকেজ‘ বলা হয়।‘‘
অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অধোগতি সম্পর্কে চিদম্বরমের টুইট, ’’ভারত এক আশ্চর্য দেশ যেখানে দ্রুততম হারে বাড়তে থাকা আর্থিক বৃদ্ধি তিন মাসে গভীর সঙ্কোচনের দিকে।‘‘