Pahalgam Attack: এর আগেও ২০২৩-এ এভাবেই ধর্ম পরিচয় জেনে করা হয়েছিল হত্যা ! রজৌরির জঙ্গি-সহযোগীদের এবার জেরা NIA-র
মনে করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিলের হামলার সঙ্গে ২০২৩ এর হামলার একটা বিষয়ে মিল রয়েছে। সেটি হল ধর্ম পরিচয় জিগ্যেস করে করে হত্যা !

নয়াদিল্লি : পহেলগাঁও হামলায় কি মদত করেছে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস-ও? পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে হামাসের কমান্ডারের যাওয়ার ছবি নিয়ে এই প্রশ্নই এবার নতুন করে মাথাচারা দিয়েছে। এরই মধ্যে এনআইএ তদন্তকারী দলের মাথায় ঘুরছে অন্য এক সন্দেহ। ২০২৩ র ভারতে ঢুকে রাজৌরিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই হামলার সঙ্গে অদ্ভুত মিল খুঁজে পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কারণ মনে করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিলের হামলার সঙ্গে ২০২৩ এর হামলার একটা বিষয়ে মিল রয়েছে। সেটি হল ধর্ম পরিচয় জিগ্যেস করে করে হত্যা !
সেবারও রাজৌরি জেলায় সাধারণ নাগরিকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ওই হামলাতেও ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করে হিন্দুদের গুলি করে মারা হয় বলে খবর সূত্রের। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। আহত হয় ৯ জন।
কী ঘটেছিল রাজৌরিতে ?
২০২৩-এর ১ জানুয়ারি। রক্তাক্ত হয়েছিল কাশ্মীর উপত্যকা। রাজৌরির আপার ডাংরি গ্রামে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। জখম হন ৬ জন। ৫০ মিটারের ব্যবধানে, পর পর ৩টি বাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পরের দিন, ২ জানুয়ারি, রাজৌরির ওই গ্রামেই IED বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ৫ জন জখম হন। সেই হামলায় জঙ্গিদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য করেছিল নিসার আহমেদ ও মুস্তাক হুসেন নামে দুজন। তারা এখন জম্মুতে জেলবন্দি। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। এ বছর ২২ এপ্রিলের পাহেলগাঁও হামলায় কি একই মাথা ? একই রকম প্ল্যান দেখেই এমন সন্দেহ গোয়েন্দাদের। পহেলগাঁওতে গণহত্যার ক্ষেত্রেও একই ছক জঙ্গিরা অনুসরণ করেছে। ২ হামলার মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই তো? উত্তর খুঁজছে NIA। মুস্তাক ও নিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গিদের আরও কোনও ঠিকানা আছে কি না, তা জানতে চাইছে NIA।
পহেলগাঁও সন্ত্রাস সংঘটিত হয়েছে পাক সেনা, ISI এবং লস্কর ই তৈবার মিলিত ষড়যন্ত্রে। পুরো অপারেশন পর্ব পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, ISI-এর ইশারায়। তদন্তে এমনই তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদল। পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার সদর দফতরে করা হয়েছিল গোটা ষড়যন্ত্র। হামলায় জড়িত দুই পাক জঙ্গি হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তলহা, পুরো অপারেশন পর্বে লাগাতার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। অস্ত্রশস্ত্র বেতাব ভ্যালিতে লুকিয়ে রেখেছিল জঙ্গিরা। সূত্রের দাবি, তাদের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ করেছে NIA। এখন দেখার নিসার আহমেদ ও মুস্তাক হুসেনকে প্রশ্ন করে কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায় কি না।






















