Pakistan India Conflict: 'সীমান্তে ভারত নোংরা খেলা খেললে...' এবার দিল্লি-কাবুলকে জোড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের!
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "হ্যাঁ, কৌশল তৈরি করা হয়েছে। আমি প্রকাশ্যে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারব না, তবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।"

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের দেওয়া নয়া মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন, তালিবানের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই পাকিস্তান সম্ভাব্য দুই ফ্রন্টের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
ভারতীয় সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ বলেন, 'পাকিস্তান দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।' তিনি 'সীমান্তে নোংরা খেলা'র "জোরালো সম্ভাবনা" সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন একথা। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, 'এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এর জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।'
এ বিষয়ে ওই বিষয়ে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "হ্যাঁ, কৌশল তৈরি করা হয়েছে। আমি প্রকাশ্যে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারব না, তবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।"
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে পাক মন্ত্রী বলেন, 'ওই দেশ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। সরকার পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে অধিকাংশ আফগানদের ফিরে যাওয়া উচিত।' তিনি এও বলেন, 'আমার মনে হয় আমাদের বন্ধু এবং শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখা উচিত'।
আফগানিস্তানকে নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রেক্ষিতে এর আগে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, 'কাল, আজ ও আগামিকাল— আফগানরা সবসময় ভারতের পক্ষেই রয়েছে'। তাঁর আরও অভিযোগ, পাকিস্তানের আগের সরকারগুলো আমেরিকার চাপে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। এটা একবারেই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলেই তাঁর মত। এতে আদতে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে।
ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়েছে পাকিস্তানের পরিস্থিতি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে চড়েছে বিদ্রোহের সুর। পাশাপাশি নানা জায়গা থেকে মাঝে মধ্যেই হামলার খবর আসছে। বিশেষত, আফগান সীমান্তে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে পাক সেনা। আর সেই হামলা প্রতিহত না করতে পেরেই ভারতের উপর দোষ চাপাচ্ছে পাকিস্তান। তাদের মতে, ভারতই ঘুর পথে নানা আফগানি সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে। তবে এই কথার যে কোনও ভিত্তি নেই, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছে ভারত ও আফগানিস্তান।






















