Salman Khan: সলমনকে মেরে ফেলাই লক্ষ্য ছিল, কড়া নিরাপত্তায় সম্ভব হয়নি, জানাল বাবা সিদ্দিকির শ্যুটাররা
Baba Siddiqui: গত ১২ অক্টোবর, ছেলে জিশান সিদ্দিকির দফতরের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন বাবা সিদ্দিকি।
মুম্বই: প্রথমে সলমন খানকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকেন অভিনেতা। তাই তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেনি আততায়ীরা। তাই সলমনে ছেড়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে তারা খুন করে। পুলিশ সূত্রে এমনই তথ্য সামনে এল এবার। (Salman Khan)
গত ১২ অক্টোবর, ছেলে জিশান সিদ্দিকির দফতরের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন বাবা সিদ্দিকি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তিন আততায়ী বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দু'টি গুলি বুকে লাগে বাবা সিদ্দিকির। সলমন ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা হল কি না, প্রশ্ন ওঠে সেই সময়। (Baba Siddiqui)
বাবা সিদ্দিকিকে খুনে অভিযুক্তরা জেরায় পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতরা জানিয়েছে, প্রথমে সলমনকে খুনের পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু সলমন কড়া নিরাপত্তার ঘেরোটোপে থাকেন। তাই তাঁর কাছে ঘেঁষা সম্ভব হয়নি। এর আগে, ধৃতরা জানায়, সলমনের পানভেলের ফার্ম হাউসেও তারা রেকি করে।
গত কয়েক বছর ধরে লরেন্স বিশ্নোইয়ের বিশ্নোই গ্যাংয়ের নিশানায় রয়েছেন সলমন। গত ১৪ এপ্রিল বান্দ্রায় তাঁর আবাসন, 'গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে'র বাইরেও এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার দায়স্বীকার করে বিশ্নোই গ্যাং। ভিকি গুপ্ত এবং সাগর পাল নামের দুই যুবককে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শুধু তাই নয়, গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার হুমকিও পেয়ে চলেছেন সলমন। মোটা টাকা মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি ফোন এসেছে পুলিশের কাছেও। লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই বলে পরিচয় দিয়ে সলমনের কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করে এক যুবক। কৃষ্ণসার হরিণ মামলার উল্লেখ টেনে সলমনকে মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও শর্ত দেওয়া হয়। হুমকি পেয়েছেন শাহরুখ খানও।
লাগাতার এই হুমকির জেরে সলমনের নিরাপত্তা বেড়েছে। এতকিছুর সূচনা যদিও দু'দশ আগের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার দরুণ। 'হম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শ্যুটিংয়ের সময় সলমন এবং ছবির কলাকুশলীদের নাম জড়ায় বিশ্নোই সম্প্রদায়ের আরাধ্য কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায়। যদিও অনেকের দাবি, হরিণ হত্যার মামলা অজুহাত। আসলে সলমনের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় এবং অপরাধ জগতে নাম কেনাই লক্ষ্য বিশ্নোই গ্যাংয়ের। গুজরাতের সবরমতী জেলে বসে লরেন্স গ্যাং চালাচ্ছে কী করে, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাবা সেলিম খান জানিয়েছেন, সলমন কোনও অপরাধ করেননি। তাই কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। এর নেপথ্যে টাকার খেলা রয়েছে বলেও জানান সেলিম।