মন্দারমনিতে সমুদ্রে স্নানে গিয়ে তলিয়ে গেল এক যুবক, উদ্ধার হওয়া অপর সঙ্গীর মৃত্যু হাসপাতালে
মন্দারমনি: ফের মন্দারমণিতে সমুদ্রে স্নান করতে নেমে দুর্ঘটনা। তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল দুই যুবকের। পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন শুভম অগ্রবাল এবং মহেশ ভাইয়া। স্থানীয় ও পুলিশের তৎপরতায় দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও, বাঁচানো যায়নি কাউকেই! পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে মন্দারমণি পৌঁছন হাওড়ার গোলাবাড়ির বাসিন্দা চারবন্ধু। শুভম অগ্রবাল, হিমাংশু শর্মা, হরষিত সিংহ এবং মহেশ ভাইয়া। এদের মধ্যে শুভম ভবানীপুরের এক বেসরকারি কলেজের ছাত্র। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সমুদ্রে স্নান করতে নামেন শুভম ও মহেশ। যদিও আরেক বন্ধু হরষিত পাড়েই দাঁড়িয়েছিলেন। সেইসময় হোটেলে জলখাবার খেতে যান হিমাংশু। স্থানীয়দের দাবি, সেইসময় জোয়ার থাকায় বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছিল। তাই হাওড়ার দুই যুবককে জলে নামতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা শোনেননি! সমুদ্রে নামার মুখেই লাগানো রয়েছে সরকারি সতর্কীকরণের বোর্ড। অভিযোগ, তাকে পাত্তা না দিয়েই সমুদ্রে নেমেছিলেন হাওড়ার দুই যুবক। যার ফল হল মর্মান্তিক। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, স্রোত অনেক বেশি ছিল। নামতে বারণ করছিল। বলল আমরা সাঁতার কাটতে জানি। এরপরে একটা বড় ঢেউ আসে, তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারে নামে পুলিশ। স্পিডবোট নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দু’জনকেই উদ্ধার করা হয়। যদিও, নিহতদের বন্ধুরা দাবি করেন, কোনও পুলিশ ছিল না, পর্যটকরাই উদ্ধার করে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে শুভম অগ্রবাল ও মহেশ ভাইয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে না জানিয়েই চার বন্ধু মন্দারমণিতে যায়। বন্ধু মহেশের বাড়িতে রাতে থাকবেন বলে বাড়ি থেকে রাত ১১টায় বেরিয়েছিলেন শুভম। মন্দারমণি পৌঁছয় রবিবার ভোরে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ। দুই যুবক মত্ত অবস্থায় জলে নেমেছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।