(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Anindya Pulak Banerjee: 'মানুষ খেতে পাচ্ছে না, আমরা প্রতিবাদ করব না?', বিজেপি ছাড়ছেন অনিন্দ্যপুলক
কেউ ছাড়ছেন....তো কেউ ফিরছেন! BJP তে টানাটানি চলছেই।
কলকাতা: বিজেপিতে ফের ভাঙনের সুর। দল ছাড়ার কথা সরাসরি জানিয়ে দিলেন এক সময় দিল্লি গিয়ে দলে যোগ দেওয়া অভিনেতা অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Anindya Pulak Banerjee)। আগেই বেসুরো হয়েছিলেন, এবার পাকাপাকি বিচ্ছেদের ঘোষণা।
কেউ ছাড়ছেন....তো কেউ ফিরছেন! পেগাসাসকাণ্ড থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটেই দলত্যাগের কথা জানালেন বিজেপির এই তারকা মুখ। বিজেপির অন্দরেও জোরাল হচ্ছে ক্ষোভের সুর। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবার বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন অভিনেতা অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বছর দুই আগে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাঝে তাঁর গলাতেও শোনা গিয়েছিল ইয়াস আবহে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের গ্রেফতারির সমালোচনা। এখন তাঁর গলাতেই পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গ। অনিন্দ্যপুলকএবিপিআনন্দকে বলেন, 'পেট্রোল-ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না' । এছাড়াও স্পষ্ট দলে তেমন গুরুত্ব না পাওয়ার অভিমানও।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনিন্দ্যপুলক সম্প্রতি নারদকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার নিয়েও, ফের প্রশ্ন তুলেছেন। মঙ্গলবার সকালে বিরোধীদের প্রাতরাশ বৈঠকেও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। তার মধ্যেই এই ইস্যুতে বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করলেন অভিনেতা অনিন্দ্যপুলক।
এর আগে পেগাসাসকাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদে তৃণমূলের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। যাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদানের আগে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের দিন, অমিত শাহের সেই মঞ্চে দেখা গেছিল সুনীল মণ্ডলকেও। এখন অবশ্য বর্ধমান পূর্বের সাংসদ দাবি করছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন।
বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেছেন বাবুল সুপ্রিয়ও। যদিও, সোমবার আবার জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর, অবস্থান পাল্টে, রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও, সাংসদ পদ না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি!
কিছুদিন আগে দলের নির্দিষ্ট কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন সৌমিত্র খানও। কিন্তু সেসব টানাপোড়েন সামলে তিনি এখনও দলেই। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী আবহে বিজেপির ঘরে টানাটানির পরিস্থিতিটা প্রকাশ্যে চলেই আসছে বারবার।