১০ বছর কারাবাসের পর ছাড়া পেলেন ছত্রধর
রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অস্ত্র-সহ একাধিক মামলায় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলকাতা: প্রায় ১১ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন ছত্রধর মাহাতো। আজ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন ছত্রধর। তাঁর নেতৃত্বেই বাম আমলে সংগঠিত হয় লালগড় আন্দোলন। জনসাধারণ কমিটির মুখপাত্র ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অস্ত্র-সহ একাধিক মামলায় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন ছত্রধর।
প্রসঙ্গত, গত বছর ছত্রধরের সাজা লঘু করার রায় দিয়েছিল আদালত। যাবজ্জীবনের বদলে ছত্রধর সহ ৪ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দলিতপুরে নাশকতামূলক বিস্ফোরণের ঘটনায় ও মাওবাদী সংস্রবের অভিযোগে গ্রেফতার হন ছত্রধর মাহাতো। ওই বছরই অক্টোবরে গ্রেফতার হন জনসাধারণ কমিটির কোষাধক্ষ্য সুখশান্তি বাস্কে। একই অভিযোগে কলকাতা থেকে ধরা পড়েন রাজা সরকেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনে তৎকালীন রাজ্য প্রশাসন। ২০১৫ সালে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করে মেদিনীপুর আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ছত্রধরের পরিবার। ওই মামলায় বেকসুর খালাস হন প্রসূন ও রাজা এবং ছত্রধর মাহাতো, সাগন মুর্মু, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেনের যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ করে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত।