হাবড়ায় অবহেলায় পথের সাথী ভবন, সন্ধে নামলেই বসে মদ-জুয়ার আসর!
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল এই সরকারি বিল্ডিং। ভিতরে রয়েছে থাকার জায়গা, রেস্তোরাঁ ৷ কিন্তু, গত দুবছর ধরে সবই বন্ধ ৷ ভিতরে জমেছে আবর্জনার স্তুপ। ঘরের মধ্যেই দেখা মেলে বিষাক্ত সাপ, ভামবিড়ালের। আর রাত বাড়লেই দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত হয় ভবনটি। এই পথের সাথীকে অবিলম্বে চালু করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে পথের সাথী ভবন ৷ স্থানীয়দের দাবি, সন্ধে নামলেই সরকারি ভবনে বসে মদ-জুয়ার আসর। তাছাড়া রয়েছে সাপ-খোপের ভয়। চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বালুইগাছিতে পথের সাথী ভবন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল এই সরকারি বিল্ডিং। ভিতরে রয়েছে থাকার জায়গা, রেস্তোরাঁ ৷ কিন্তু, গত দুবছর ধরে সবই বন্ধ ৷ ভিতরে জমেছে আবর্জনার স্তুপ। ঘরের মধ্যেই দেখা মেলে বিষাক্ত সাপ, ভামবিড়ালের। আর রাত বাড়লেই দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত হয় ভবনটি। এই পথের সাথীকে অবিলম্বে চালু করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
হাবড়ার এক স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্য নীলিমা পালের মতে, ‘‘পুরুষরা লক ডাউনে কাজ হারিয়ে বেকার অবস্থায় বাড়িতে আছেন। দীর্ঘ লকডাউনে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে আমরা চাই অবিলম্বে চালু করা হোক মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প।’’
সরকারি ভবনের দূরবস্থা নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি ওবিসি মোর্চার সভাপতি নীলরতন মিত্র জানান, ‘‘ এইরকম কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রচুর বিল্ডিং বানানো হয়েছে। একটিও পথের সাথী লাভজনক অবস্থায় জেলায় চলছে না। শুধু শুধু অর্থের অপচয়। সেসব স্থানে অসামাজিক কাজ চলছে।’’
হাবরা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল নেতা ও সভাপতি অজিত সাহা জানান, ‘‘ আগে যে গ্রুপটি এই পথের সাথী পরিচালনা করত সেখানে বেশ কিছু অনিয়ম এবং অসামাজিক কার্যকলাপ অভিযোগ ওঠে। তার পরেই তৎকালীন প্রশাসন সেই পথের সাথী বন্ধ করে দেয়। গত দু'বছর ধরে সেটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকলেও ইতিমধ্যেই কিছু সওনির্ভর গোষ্ঠীর তরফ থেকে দরপত্র দেয়া হয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই পথের সাথীকে আবার পুরনো রূপে দেখা যাবে।’’
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু, যতদিন না এই ভবনে কাজ শুরু করা যাচ্ছে, ততদিন নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।