বাড়িতে খুন মা-মেয়ে, খাটের তলায় লুকিয়ে রক্ষা শিশুপুত্রর, পাইপ বেয়ে দোতলা থেকে নেমে আহত ব্যবসায়ী, ঘটনা ঘিরে রহস্য
জলপাইগুড়ি: মাঝরাতে জোড়া খুন! ব্যবসায়ীর ঘরে মিলল স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ! খাটের তলা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ৭ বছরের ছেলে! বুধবার রাতের এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১টার কিছু পরে, ব্যবসায়ী অভিনন্দন সাহার চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, ঘরে ডাকাত পড়েছে বলে দোতলার বারান্দা থেকে চিৎকার করছিলেন ব্যবসায়ী। হাতে ছিল ধারাল অস্ত্র। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সাদা জামা, রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করছিলেন ব্যবসায়ী, হাতে ধারাল দা -এর মতো কিছু ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভক্তিনগর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। সদর দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। এরপর দোতলার ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, বিছানায় পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর স্ত্রী রীতার রক্তাক্ত দেহ। ১০ বছরের মেয়ে পায়েল পড়েছিল মেঝেতে! খাটের তলায় লুকিয়ে ছিল ব্যবসায়ীর ৭ বছরের ছেলে! রাতেই আহত ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর হাতেও গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও মেয়েকে। কিন্তু, ধন্দ ছড়িয়েছে একাধিক বিষয়ে। ব্যবসায়ীর বাড়ির সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তাহলে কীভাবে বাড়িতে ঢুকল দুষ্কৃতীরা? পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। প্রশ্ন উঠছে, দুষ্কৃতীরা কেন কিছু নিয়ে গেল না? তবে কি কারণে খুন? ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব? নাকি অন্য কিছু? ঘটনা জানতে এখন পুলিশের ভরসা মৃতের ৭ বছরের ছেলে! কিছুটা সুস্থ হলে ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। সবমিলিয়ে জোড়া খুনে ঘনীভূত রহস্য!