পঞ্চায়েত ভোট: সুরক্ষায় ৪ রাজ্য থেকে আসছে ২ হাজার সশস্ত্র পুলিশ, চলছে জেলায় জেলায় রুটমার্চ

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় নিরাপত্তা জোরদার। ৪ রাজ্য থেকে আসছে সশস্ত্র পুলিশ। ২ হাজার পুলিশ আসছে অন্ধ্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, সিকিম থেকে। চলছে জেলায় জেলায় রুটমার্চ। ভিআইপি-দের দেখা মাত্রই স্যালুট করার নির্দেশ সিভিক ভলান্টিয়ারদের। মনোনয়ন ঘিরে অশান্ত হয়েছিল রাজ্যের নানা প্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যেন এই ছবি দেখা না যায়। সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে। সূত্রের খবর, ৪ রাজ্য থেকে আসছে সশস্ত্র পুলিশ। ২ হাজার পুলিশ আসছে অন্ধ্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, সিকিম থেকে।
ভোট-নিরাপত্তা নিয়ে এদিন বৈঠক হয় কমিশনে। স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনারের। কোন জেলায় কত পুলিশ মোতায়েন, তা নিয়ে আলোচনা হয়। স্পর্শকাতর বুথে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশনারের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা আলোচনা হয় স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি-র। সোমবার ভোটের জন্য পঞ্চায়েত এলাকায় বন্ধ স্কুল। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা জেলায় জেলায়। বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে রুট মার্চ। মালদা জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশের টহলদারি। মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা পুলিশ ছাড়াও ভোট সামলাবে আরও ১৮৯০ জন পুলিশ। যাদের মধ্যে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাহিনী। ভিন রাজ্য সিকিম থেকেও আসছে পুলিশ। ভোটের দায়িত্বে থাকছেন ৪০৮৬ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবার সকালেও হুগলির সিঙ্গুরে রুটমার্চ করে পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, হুগলি জেলায় ভোটের দায়িত্বে থাকছে প্রায় দশ হাজার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার ও র্যাফও থাকছে। পুলিশের টহলদারি চলছে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। শুধু রাজনৈতিক গণ্ডগোলের মোকাবিলাই নয়। ভোটের দিন কোনওরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে, তার মোকাবিলাতেও তৈরি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ টানাপোড়েন, অশান্তি, রক্তপাতের পর হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। সে ভোটপর্ব নির্বিঘ্ন করতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার।






















