Purulia: লকডাউনে কাজ হারিয়ে আর্থিক অনটনে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর?
পুলিশ দু’জনকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কল্পনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সেকরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সুধাংশু।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বাবুগ্রামে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মহিলার স্বামীকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর তিনি জানিয়েছেন, আর্থিক অনটনের কারণেই এই কাজ করেছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুধাশু কুম্ভকার, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কল্পনাকে নিয়ে বীরভূমের তারাপীঠে রাঁধুনির কাজ করতেন। গতকালই তাঁরা গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন।
অভিযোগ, আজ সকালে গ্রামের অদূরে একটি পুকুরপাড়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেন স্বামী। তারপর নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। গ্রামবাসীরাই দম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দু’জনকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কল্পনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সেকরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সুধাংশু।
করোনাভাইরাস অতিমারী রুখতে গত বছর দেশজুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন। দীর্ঘ সেই লকডাউনের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠার মুখে ফের দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর প্রকোপ রুখতে ফের বিভিন্ন রাজ্যে জারি হয় বিধিনিষেধ। এভাবে করোনাজনিত বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই রুটিরুজি হারিয়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছেন। তীব্র আর্থিক সংকট সহ বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েছেন তাঁরা। এরইমধ্যে কাজ হারিয়ে অর্থসংকটে মানসিক অবসাদে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ার ওই কর্মহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
দীর্ঘদিন তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বীরভূম জেলার তারাপীঠে ছিলেন। গতকাল নিজের জন্মভিটায় স্ত্রী কল্পনা কুম্ভকার (৪৮) কে নিয়ে ফিরেন সুধাংশু কুম্ভকার (৫৫)। এরপর বুধবার সকালে নিজের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার পর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনার খবর পায় রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে স্বামী স্ত্রীকে উদ্ধার করে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা কল্পনাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুধাংশু কুম্ভকার। সুধাংশু বাবু জানান দীর্ঘদিন যাবত কর্মসূত্রে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠে ছিলেন তিনি ।বর্তমানে লকডাউন হওয়ায় কাজ হারিয়ে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন।পাশাপাশি, তাঁর কাছে সচিত্র পরিচয় পত্র না থাকায় ওখানে থাকার সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। আজ সকালে পারিবারিক অনটনের কারণে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।