Upper Primary Recruitment Update: 'ইন্টারভিউ নিতে বাধা নেই, কিন্তু দেওয়া যাবে না নিয়োগপত্র', এসএসসি আপার প্রাইমারি মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে স্বচ্ছ তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেস তৈরি করতে হবে, ইন্টারভিউ শেষ করে প্যানেল তৈরি রাখতে হবে... জানিয়েছে উচ্চ আদালত
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্যানেল প্রস্তত করে রাখতে হবে। কিন্তু দেওয়া যাবে না অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বা নিয়োগপত্র। স্কুল সার্ভিস কমিসনের (এসএসসি) আপার প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিয়োগে নতুন করে জটিলতা।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ করা যাবে না। তবে, ইন্টারভিউ নিতে আপাতত কোনও বাধা নেই।
আদালত আরও জানিয়েছে, ইন্টারভিউ শেষ করে প্যানেল তৈরি রাখতে হবে। ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে স্বচ্ছ তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেস তৈরি করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
আদালতের নির্দেশ, ডেটাবেসের মধ্যে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর, এই তথ্যগুলি অবশ্যই থাকতে হবে। পাশাপাশি, যাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পায়নি, তাঁদেরও তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে হবে।
একইভাবে, যাঁরা অনিয়মের অভিযোগে কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং কমিশন যে অভিযোগের শুনানি করবে, সেই ডেটাবেসও প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গোটা তথ্যভাণ্ডার আদালতের কাছে পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৩৯। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নিয়োগপ্রক্রিয়া। কিন্তু, এরইমধ্যে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ মেরিট লিস্টে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
কিন্তু রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে, আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানায়, ২ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ জানাতে পারবে। অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার পর, ১০ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। এতে থেমে থাকবে না ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষকপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
এসএসসি-র সদ্য প্রকাশ করা ইন্টারভিউ তালিকায় একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হোক।
তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।