Yass Cyclone Preparation: আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়, 'ইয়াস'-এর মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরকেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে...
কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। আমফানের পর এবার ইয়াসের আতঙ্ক।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শক্তিসঞ্চয় করে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ক্রমশ বাংলা-ওড়িশা উপকূলের অগ্রসর হবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে উপকূল এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে উপকূলবর্তী তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি।
ঝড়ের ভ্রুকুটিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই আগে থেকে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের শীর্ষ কর্তা থেকে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। পাশাপাশি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, পানীয় জল, ওষুধ মজুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
এই নির্দেশ পেয়েই, আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকার প্রশাসন। ২৪ মে, সোমবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা ও ডায়মন্ড হারবার এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়।
এদিকে, করোনার কথা মাথায় রেখে সাইক্লোন সেন্টারগুলি স্যানিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে প্রচার শুরু হয়েছে ঝড়খালি, ছোটমোল্লাখালি ও মইপীঠেও।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে ঝাড়গ্রামের পুলিশ-প্রশাসনও। গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন সতর্কতামূলক প্রচার করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনিক স্তরে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে। আলোচনা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরকেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
সেচ দফতর, পুলিশ, অসামরিক পরিবহণ দফতরকে সতর্ক করার পাশাপাশি প্রস্তুত থাকবে বলা হয়েছে এনডিআরএফ-কে।
এর আগে আমফানের সময় ভেঙে পড়েছিল মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা। সেই কারণে যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
এবার আগাম সতর্কতা হিসেবে মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার সঙ্গেও বৈঠক করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।