Pakistan Spy : পাকিস্তানী 'স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে' ঘনঘন ওদেশে, গোপনে প্রচুর তথ্য-টাকা পাচার! ATS এর জালে হারুন
মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করত হারুন।

নয়াদিল্লি : গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ ATS। দিল্লির সিলামপুর থেকে মহম্মদ হারুনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। বারাণসী থেকে তুফায়েল নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।
কে এই হারুন?
ভারতের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে দিল্লিতে পাক দূতাবাস থেকে গুপ্তচরদের নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগে দানিশের পরে এবার উঠে এসেছে মোজাম্মেল হোসেনের নাম। এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের পরে দিল্লির পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত আরও এক আধিকারিককে ‘অবাঞ্ছিত’ (পার্সোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ ATS।
দিল্লির সিলামপুর থেকে মহম্মদ হারুনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের এক বিদায়ী আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ হারুনের বিরুদ্ধে। 'পারসোনা নন গ্রাটা' ঘোষণা করে মোজাম্মেল হোসেনকে দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত। হারুন মোজাম্মেল হোসেনকে ভারতের অভ্যন্তরীন সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে বলে ATS সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করত হারুন। পরে সেই টাকা মোজাম্মেলের বলে দেওয়া লোকেদের কাছে পাঠাতে হতো। পাকিস্তানে একাধিবার যাতায়াতের সময়ই মোজাম্মেলের সঙ্গে পরিচয় হয় হারুনের। ঘনিষ্ঠতা বাড়লে পাকিস্তানের ভিসা দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা শুরু করে ধৃত। তারপরে ভারতের গোপনীয় তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতে শুরু করে সে। হারুনের কথায় বহু লোক মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে। পরে সেই টাকা মোজাম্মেলের বলে দেওয়া ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে জমা করে মোটা কমিশন পায় সে। ভারত বিরোধী কাজে সেইসব টাকা ব্যবহার হতো বলে ATS সূত্রে খবর।
হারুনের পরিবার জানিয়েছে, তার দু'জন স্ত্রী রয়েছেন। এক স্ত্রী পাকিস্তানি, তার সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই পাকিস্তানে যেত হারুন। পহেলগাঁওয়ে গণহত্যার সময় সীমান্তের ওপারে থাকা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার নামে পাকিস্তানে ছিল হারুন। ৫ এপ্রিল পাকিস্তানে যায় সে ফেরে ২৫ তারিখ।
বারাণসী থেকে ধৃত তুফায়েল
হারুন ছাড়াও বারাণসী থেকে তুফায়েলকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। ভারতের অভ্যন্তরীন সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগ তুফায়েলের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশ ATS সূত্রে খবর, রাজঘাট, জ্ঞানবাপী মসজিদ, লাল কেল্লা ও দেশের একাধিক রেল স্টেশনের ছবি তুলে পাকিস্তানের নম্বরে পাঠিয়েছে সে। ৬০০টিরও বেশি পাকিস্তানি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের। ফেসবুকে পাক সেনাকর্তার স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল তুফায়েলের। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রচারেও যুক্ত ছিল ধৃত।






















