কোভিড-১৯: ৩০ শতাংশ কম সময়ে সংক্রমণ সারাতে সক্ষম 'রেমডেসিভির', দাবি মার্কিন সংস্থার
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এ কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগে ইতিবাচক সাড়া, দাবি
ওয়াশিংটন: ট্রায়াল পরীক্ষায় প্রধান লক্ষ্যে সফল কোভিড-১৯ এর বহুচর্চিত অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ 'রেমডেসিভির'। এমনটাই দাবি করল জিলিড সায়েন্স। মার্কিন সংস্থার দাবি, অন্য ওষুধের তুলনায় 'রেমডেসিভির' প্রয়োগে কোভিড-১৯ রোগী ৩০ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এ এই পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এর আগে, গত ২৪ তারিখ প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ব্যর্থ হয়েছিল 'রেমডেসিভির'।
প্রসঙ্গত, 'রেমডেসিভির' হল করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহার করা প্রথম অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ইন্ট্রা-ভেনাস পদ্ধতিতে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। জিলিডস জানিয়েছে, প্রথম ট্রায়ালের প্রমাণই বলে দিচ্ছে, যে পরীক্ষা সফল। সংস্থার দাবি, প্লাসেবো-র থেকে এই ওষুধ ৩০ শতাংশ দ্রুত কাজ করে।
গত সপ্তাহে শিকাগো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয় 'রেমডেসিভির'। পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় ৬৮টি জায়গায় এই ওষুধের ট্রায়াল সামন্তরালভাবে প্রয়োগ করা হয়।
জিলিড সায়েন্স জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ কোভিড পজিটিভ রোগীর দেহে 'রেমডেসিভির'-এর পাঁচদিনের ডোজ প্রয়োগ করা হয়। দেখা গিয়েছে, অর্ধেকের বেশি রোগী ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায় শুরু করা হবে। একবার তা সফল হলে, ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের আবেদন করা হবে।
সংস্থার দাবি, সব জায়গা থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এর আগে, বাঁদরের ওপর প্রয়োগ করেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছিল বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইবোলার বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল 'রেমডেসিভির'। আদতে, অন্যান্য ওষুধ যেখানে উপসর্গ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালায়, এই ওষুধটি সরাসরি ভাইরাসের ওপর গিয়ে কাজ করে।
গবেষকদের দাবি, এই ওষুধটি ভাইরাসের আরএনএ ও ডিএনএ-র চারটি ব্লকের একটির রূপধারণ করে ভাইরাসের জিনোমে প্রবেশ করে তার বংশবৃদ্ধি করা আটকে দেয়।
বর্তমানে একাধিক দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্লোরোকুইন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর মতো অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ওষুধ। এছাড়া, কিছু জায়গায় প্লাজমা থেরাপি করার চেষ্টাও চলছে।