(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Blackout in Kabul: বিদ্যুৎহীন কাবুল, বকেয়া মেটায়নি তালিবান, অন্ধকারে ডুবতে বসেছে আফগান প্রদেশের একাধিক শহর
সূত্রের খবর, তালিবান সরকারের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
কাবুল: আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘দা আফগানিস্তান ব্রেশনা শেরকত’ (ডিএবিএস) বুধবার জানিয়েছে, উজবেকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশ এবং রাজধানী কাবুলে কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তালিবান সরকারের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই টাকা না মেটানোর জন্যই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে, এমনটাই খবর।
ডিএবিএসকে স্পুটনিক জানিয়েছে, উত্তর আফগান প্রদেশ বাঘালানে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। নিউজ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নতুন তালিবান সরকার মধ্য এশীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ না করার কারণে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল অন্ধকারে ডুব দিতে পারে।
আফগানিস্তানে জেহাদিরা ক্ষমতায় আসার পর ইস্তফা দিয়েছেন দেশের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার প্রধান দাউদ নুরাজি। তারপর থেকেই কার্যত থমকে রয়েছে সমস্ত প্রশাসনিক কাজ। যদিও, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান থেকে দেশের প্রয়োজনের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে আফগানিস্তান। আর চলতি বছর অনাবৃষ্টির জেরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
এছাড়া, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির বকেয়াও মেটাচ্ছে না তালিবান। ফলে শীতের মরশুমের আগে জোগান বন্ধ করে দিতে পারে তারা। তিনি জানান, বিদ্যুতের জোগান বন্ধ হলে গোটা দেশ প্রভাবিত হবে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কাবুলে। ধাক্কা খাবে টেলি কমিউনিকেশন ব্যবস্থা। কার্যত অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে আফগানিস্তান।
কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের মানবতা বিষয়ক সমন্বয় দপ্তর দাবি করেছিল, দ্রুত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে আফগানিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জেন্স লার্ক জেনেভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, লক্ষ লক্ষ আফগান নাগরিক বড় সমস্যার মুখে।