Indonesia Ferry Fire: মাঝ সমুদ্রে হঠাৎই জাহাজে আগুন, কপালজোরে রক্ষা সব কর্মচারী-যাত্রীরই
জাহাজে ছিলেন মোট ১৯৫ জন।
জাকার্তা: মাঝসমুদ্রে আচমকাই আগুন লেগে গেল জাহাজে। দাউ দাউ করে আগুনে গ্রাসে চলে যাওয়া জাহাজ থেকে প্রাণে রক্ষা পেতে জলে ঝাঁপ দিলেন সকলেই। আর কপালজোরে কর্মচারী-যাত্রী সহ জাহাজে থাকা ১৯৫ জনই প্রাণে বাঁচলেন। ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার।
উত্তর-পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার লিমাফাটোলা দ্বীপের সানানা বন্দরের উদ্দেশ্যে মোলুকা সমুদ্র ধরে রওনা দিয়েছিল কেএমন কারয়া ইন্দা জাহাজটি। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ বিপত্তি। স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা নাগাদ জাহাজের পিছনের অংশে আগুন ধরে যায়। ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র যোগাযোগ ব্যবস্থার মুখপাত্র উইনসু ওয়ারডানা জানান, টেরনাটে থেকে জাহাজটি ছেড়ে বেরোনোর ১৫ মিনিটের মধ্যে মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ তাতে আগুন ধরে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির পক্ষ থেকে যে ভিডিওগুলো প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মোবাইলে তোলা ঘটনার পরের অবস্থাটা। জাহাজটি ক্রমশ আগুনের গ্রাসে চলে যাচ্ছে দেখে কর্মচারী ও যাত্রীরা একের পর এক সমুদ্রে ঝাঁপ দিচ্ছেন। তাদের কারোর কারোর গায়ে সেফটি জ্যাকেট থাকলেও বেশিরভাগের কাছেই তা ছিল না। দেখা যায়, সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে মরিয়াভাবে কিছু জিনিস ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন সকলে। যেটা জাহাজ থেকেই বুদ্ধি করে সমুদ্রের জলে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কর্মচারীরা।
এরকম ভয়ানক দুর্ঘটনার মাঝেও স্বস্তির খবর জাহাজে থাকা মোট ১৯৫ জনকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। জাহাজটিতে ২২টি শিশু সহ মোট ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। কর্মচারী ছিলেন ১৪ জন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে জাহাজটি এভাবে মাঝ সমুদ্রে আগুনের গ্রাসে চলে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জাহাজে থাকা যাত্রীদের বয়ান অনুযায়ী, ইঞ্জিনরুমেই আগুন লেগেছিল। তা থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইন্দোনেশিয়া প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে অন্যতম ভরসা ফেরি ও জাহাজ। আর ইন্দোনেশিয়ায় জাহাজ দুর্ঘটনাও ঘটে আখছাড়। সেগুলি ঠিকমতো দেখাশোনা করার অভাবেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে।