কুলভূষণকে কনস্যুলার সহায়তা নয়, জানাল পাক সেনা
ইসলামাবাদ: ভারতের প্রস্তাব খারিজ করে পাকিস্তানের সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার সহায়তা দেওয়া হবে না।
এদিন পাক সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, আইন অনুযায়ী, আমরা কুলভূষণকে কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করার অনুমতি দিতে পারি না। কারণ, ওকে চরবৃত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৪৬ বছরের যাদবকে গত সপ্তাহে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল। তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে ভারত।
হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, কুলভূষণের কিছু হলে তার ফল ভোগ করতে হবে ইসলামাবাদকে। কুলভূষণের ফাঁসির নির্দেশকে ‘পূর্ব-পরিকল্পিত হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এর প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়তে বাধ্য।
পাকিস্তান দাবি করেছিল, বালোচিস্তান প্রদেশ থেকে গত বছরের ৩ মার্চ কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয়। পাক প্রশাসনের অভিযোগ, কুলভূষণ ইরান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল। তারা এ-ও দাবি করে, কুলভূষণ ভারতীয় নৌসেনায় কর্মরত। এই প্রসঙ্গে, তারা কুলভূষণের জবানবন্দির ভিডিও প্রকাশ করে।
যদিও, পাকিস্তানের এই দাবি খারিজ করে ভারত। নয়াদিল্লি জানায়, কুলভূষণকে পাক আধিকারিকরা রীতিমতো অপহরণ করে। ভারত এ-ও জানায়, কুলভূষণকে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভারত জানিয়ে দেয়, বর্তমানে তাঁর সঙ্গে সরকারের কোনও যোগাযোগ নেই।
শুধু এবারই নয়, গত বছর থেকে বহুবার ভারতের তরফে কুলভূষণকে কনস্যুলার সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, প্রতিবারই সেই অনুরোধ নাকচ করেছে ইসলামাবাদ।
এমনকী, গত শুক্রবারও পাক বিদেশসচিব তেহমিনা জাঞ্জুয়ার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি উত্থাপন করেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার গৌতম বাম্বাওয়ালে। তিনি কুলভূষণের জন্য কনস্যুলার সহায়তার পাশাপাশি মামলার চার্জশিট ও রায়ের প্রত্যয়িত কপি চান।
এদিন সেই অনুরোধ খারিজ করে পাক সেনা। গফুর জানান, কুলভূষণ যেহেতু চরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই তাকে সাজা দেওয়াটা কর্তব্য পাক সেনার। তিনি বলেন, আমরা এই ইস্যুতে আপস করছি না, ভবিষ্যতেও করব না। তাঁর দাবি, কুলভূষণের মামলায় সবকিছুই আইন ও নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।