Pakistan: পাকিস্তানের হাসপাতালে শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধও, বন্ধ হতে চলেছে চিকিৎসা
Pakistan Medicine Crisis: পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানি করতে পারছেন না উৎপাদনকারীরা।
ইসলামাবাদ: জ্বালানি থেকে খাদ্যদ্রব্য, চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও সমস্যায় পড়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটেরই বিরূপ প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যখাতে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানি করতে পারছেন না উৎপাদনকারীরা। হাসপাতালের বিছানায় রোগীরা কাতরালেও ওষুধ না থাকায় অস্ত্রোপচার করছেন না চিকিৎসকরা, এমনটাই একটি রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।
জীবনদায়ী ওষুধের অভাবের জেরে সে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পাকিস্তানে বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহের চেতনানাশক ওষুধ রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মতো স্পর্শকাতর রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ।
ওষুধ সঙ্কটের জন্য পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। অর্থনৈতিক সঙ্কটে হাসপাতালের কর্মীরাও চাকরি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন, মোদিকেই তাদের প্রধানমন্ত্রী চায় পাকিস্তান! ইউটিউবারের প্রার্থনার ভিডিও ভাইরাল
পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। দেশটির মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে, কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।
দেশটির ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ) এ সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই এর সমাধান করতে হবে।