Russia Ukraine Crisis: বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী মিছিল, নিশানায় রাশিয়া
Russia Ukraine War: রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা। চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ।
বার্লিন: ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া (russia)। প্রায় তিন সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও এখনও চলছে হামলা-পাল্টা হামলা। রাশিয়ার এই হামলার বিরুদ্ধে একাধিক দেশের সরকার যেমন পদক্ষেপ করেছে, তেমনই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা। ইউরোপের অধিকাংশ দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনকে (ukraine) সাহায্য করছে। একইভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা।
জার্মানিতে (germany) শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে বার্লিনে (berlin)। হয়েছে দীর্ঘ মিছিলও। ইউক্রেনের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল হয়েছে। ছিল যুদ্ধবিরোধী স্লোগানও। পোল্যান্ডের ওয়ারশ, লন্ডন এবং জার্মানিরই ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ এবং স্টুটগার্টে যুদ্ধ বিরোধী মিছিল হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মিছিল হয়েছে ইতালির (italy) বিভিন্ন শহরেও। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগে ইতালির মিলানে মিছিল হয়। ওই মিছিলে দেখা গিয়েছে শিশুদেরও। এর আগে তাইওয়ানে থাকা ইউক্রেনের নাগরিকরাও প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন।
যদিও উল্টোছবি দেখা গিয়েছে সার্বিয়াতে (serbia)। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে রাশিয়ার পক্ষে মিছিল হয়। মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল একটি চরম দক্ষিণপন্থী সংগঠন।
এর আগে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকেও রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ইউক্রেনের মাটিতে ক্লাস্টার বোমা এবং ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করছে রাশিয়া, এমনটাই অভিযোগ করেছে তারা। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিসও।
যুদ্ধের শুরু থেকেই জনবসতি এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে বলে রাশিয়ার (russia) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসেছে ইউক্রেন। বিমান হামলায় (air raid) প্রায় ছারখার ইউক্রেনের একাধিক শহর। সোমবার ইউক্রেনের অধিকাংশ প্রদেশেই নাগাড়ে বেজেছে এয়ার রেইড সাইরেন। পরিস্থিতি সামলাতে গোটা ইউক্রেনের আকাশকে নো-ফ্লাই জোন (no fly zone) ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এর আগেও এই দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেবার সেই দাবি মানেনি ন্যাটো (nato)। পরে আবার একই দাবি করেছেন জেলেনস্কি।
যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি চলছে রাশিয়ার উপর। পশ্চিমী দুনিয়া নানাভাবে রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। সেনা (army) নামিয়ে সরাসরি যুদ্ধ না করলেও রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে একাধিক পদক্ষেপ (sanction) নিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। UN-এ যে দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে, তারাও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি (peace) প্রক্রিয়া আনার বার্তা দিয়েছে। বারবার আলোচনা চললেও শান্ত হচ্ছে না ইউক্রেন।