Russia-Ukraine War: যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আশ্রয় থিয়েটারে, রুশ বোমায় শেষ ৩০০ প্রাণ, জানাল ইউক্রেন
Russia-Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইতিমধ্যেই একমাসের সময়কাল পার করে ফেলেছে। তবে এই মারিউপোল বন্দর শহর নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু থেকেই টানাপোড়েন চলছে।
কিভ: গোটা দেশে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান পেতে সময় লাগবে। কিন্তু মারিউপোল শহরের একটি থিয়েটারেই ৩০০ মানুষ মারা গিয়েছেন রুশ হামলায়। শুক্রবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমনই দাবি করল ইউক্রেন সরকার। গত সপ্তাহে ওই থিয়েটারে রুশ সেনা বোমা ফেলে বলে অভিযোগ। সেই সময় সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৩০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের সরকার।
মারিউপোল থিয়েটারে থিয়েটারে যুদ্ধের বলি ৩০০
এ দিন মারিউপোল সিটি হলের তরফে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং সবকিছু খতিয়ে দেখে যে তথ্য মিলেছে, তাতে মারিউপোল ড্রামা থিয়েটারে ৩০০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে এসেছে। রুশ যুদ্ধবিমান থেকে সেখানে বোমা ফেলা হয়।’
Mariupol now. A former beautiful city of 450,000 people who lived in peace before the arrival of the Russian army. Russians will have to answer for everything#RussianWarCrimes pic.twitter.com/9kFsxLwGvD
— Oleksandra Matviichuk (@avalaina) March 23, 2022
আরও পড়ুন: Petrol-Disel Price Hike: চারদিনে ৩ বার বাড়ল জ্বালানির দাম, কলকাতায় কত হল?
এমনটা যে হতে পারে, তা যদিও আগেও আশঙ্কা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ওই থিয়েটারে কয়েকশো মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা এবং শিশু। সেখানেই বোমা ফেলেছে রাশিয়া। রুশ হামলায় থিয়েটারটির আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সিটি হলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেখানে নিরীহ মানুষ জন রয়েছেন, তা জানত রাশিয়া। তার পরেও বোমা ফেলে তারা।
মারিউপোল নিয়ে চরম টানাপোড়েন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইতিমধ্যেই একমাসের সময়কাল পার করে ফেলেছে। তবে এই মারিউপোল বন্দর শহর নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু থেকেই টানাপোড়েন চলছে। মানব করিডর গড়ে সেখান থেকে নিরীহ মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। সেই মতো দুই দেশই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু উদ্ধারকার্য চলাকালীনও রক্তপাত বন্ধ হয়নি পুরোপুরি। ইউক্রেনের অভিযোগ, মানব করিডর গড়ে নিজেদের সুবিধার্থে সাধারণ ইউক্রেনীয়দের একেবারে বেলারুশ সীমান্ত অভিমুখে নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্য দিকে, রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনীয় সেনাই বার বার উদ্ধারকার্যে বাধা দিচ্ছে।