World Whale Day 2022: পরিবেশ বাঁচিয়েও নিজে বিপদে, আজ বিশ্ব তিমি দিবস
World Whale Day: বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। পরিবেশ রক্ষাতেও রয়েছে অবদান। এত বড় প্রাণী হয়েও বিপন্ন তিমি। আজ, ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব তিমি দিবস।
নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। তার বিচরণ পৃথিবীর মহাসাগরগুলিতে। পরিবেশ রক্ষাতেও রয়েছে অবদান। এত বড় প্রাণী হয়েও এখন বিপন্ন তিমি। আজ, ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব তিমি দিবস (world whale day)।১৯৮০ সালে প্রথম পালিত হয় বিশ্ব তিমি দিবস। হাওয়াইয়ের মাউইতে (maui) প্রথমবার এই দিনটি উদযাপন করা হয়েছিল। তিমি সংরক্ষণের বার্তা দিতে প্রতিবছর আয়োজিত হয় মাউই তিমি উৎসব (maui whale festival)। পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে সেখানে ভিড় জমান বহু পর্যটক।
তিমি নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে। কী সেগুলি?
পৃথিবীর প্রাচীন বাসিন্দা
মানুষেরও বহু আগে পৃথিবীতে এসেছে তিমি (whale)। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কমবেশি ৫০ মিলিয়ন বা পাঁচ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল তিমির পূর্বপুরুষ। তারপর থেকে ক্রমশ বিবর্তন হয়ে এখন একাধিক প্রজাতিতে বিভক্ত জলচর তিমি।
রয়েছে দুটি ভাগ
দাঁতের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে ২টি ভাগে ভাগ করা যায় তিমিকে। একটি হল টুথড হোয়েল (toothed) এবং অন্যটি ব্যালেন হোয়েল (baleen)।
অস্ত্র যখন বুদবুদ
হাম্পব্যাক (humpback) তিমি এবং ব্রাইড (bryde) তিমি জলের ফোয়ারা ছুটিয়ে বুদবুদের মাধ্যমে শিকারকে বিভ্রান্ত করে শিকার করে। একটি দলের একের পর এক তিমি ফোয়ারা ছুটি জলের একটি বৃত্ত তৈরি করে। সেখানেই আটকে পড়ে নির্দিষ্ট শিকার।
লেজ দিয়ে যায় চেনা
তিমির লেজ দিয়ে সেই তিমিটিকে চেনা যায়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মানুষের আঙুলের ছাপের মতোই প্রতিটি তিমির লেজ আলাদা আলাদা।এছাড়া, পাখনা ও পিঠের গড়নের ভিত্তিতেও তিমি চেনা যায়।
পরিবেশের রক্ষাকর্তা
তিমির মল আয়রন সমৃদ্ধ (iron rich)। সেই মল ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন (phytoplankton) তৈরির সহায়ক। যা পরিবেশ থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন শুষে নেয়। তৈরি করে অক্সিজেন। ফলে তিমি কমে গেলে তা গোটা পৃথিবীর জন্য অশনিশঙ্কেত।
এ হেন প্রাণীও এখন ঘোরতর বিপদে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নানা কারণে চলা তিমি শিকারে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত তারা। এর সঙ্গে জয়বায়ু বদলের কারণেও কমছে তিমির সংখ্যা। বিশ্বকে বাঁচাতে, মানবসমাজকে বাঁচাতে রক্ষা করতে হবে তিমিকেও। বলছেন বিজ্ঞানীরা।