Viral Video: মেঠো রাস্তায় মিশে একরত্তির স্বপ্ন, একপায়ে লাফিয়েই স্কুলযাত্রা মেয়ের, নজর কাড়ল সকলের
Bihar Girl Wins Hearts: উৎসাহের বশেই হয়ত একরত্তি মেয়ের এমন স্কুলযাত্রার কিস্সা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন কেউ।
পটনা: কতটা পথ পেরোলে তবে লক্ষ্য ছোঁয়া যায়! পাহাড় কেটে জবাব দিয়েছিলেন দশরথ মাঝি (Dashrath Manjhi)। অক্ষমতার পাহাড় ডিঙিয়ে জবাব দিলেন ১০ বছরের সীমা মাঝিও (Seema Majhi)। এক জন্মস্থল বিহার ছাড়া কোনও মিল নেই দু'জনের মধ্যে। সীমার জন্মের পাঁচ বছর আগেই গত হয়েছেন দশরথ। কিন্তু জেদ এবং লড়াকু মানসিকতা বোধহয় নিহিত তাঁদের জন্মভূমির মাটিতে। তাই কেউ কাউকে চোখে না দেখলেও, এক বিন্দুতে মিলে গিয়েছে দশরথ এবং সীমার নাম।
বিহারের সীমা মনে করাচ্ছে দশরথ মাঝিকে
বিহারের (Bihar News) জামুইয়ের নকশাল অধ্যুষিত ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা সীমা মাঝি। বয়স মাত্র ১০ বছর। এই অল্প সময়েই অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে একরত্তির জীবনে। কয়েক বছর আগে দুর্ঘটনার কবলে একটি পা বাদ যায় তার। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সীমাকে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। লেখাপড়ার প্রতি তীব্র ঝোঁকই ঘর থেকে বার করে আনে সীমাকে (Viral Video)।
जमुई की इस बच्ची का वीडियो दिखा. किसी दुर्घटना में इसका एक पैर नहीं रहा. माता-पिता मजदूरी करते हैं और बच्ची पढ़ने के लिए आधा किलोमीटर ऐसे ही जाती है. @iChiragPaswan से गुजारिश है कि बच्ची को एक ट्राइसिकल उपलब्ध करा दें. मीडिया से आग्रह है कि बच्ची की लाचारी का तमाशा मत बनाइएगा.🙏 pic.twitter.com/FMSJbxXgyZ
— Utkarsh Singh (@UtkarshSingh_) May 25, 2022
কিন্তু ঘর থেকে বেরোলেও, পা-হীন মেয়ের পক্ষে স্কুলে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ভেবে ভেবে বাড়ির সকলে তো বটেই, ঘুম উড়েছিল আশেপাশের লোকজনেরও। কিন্তু অসম্ভবের সীমারেখা মুছে দিতে বদ্ধপরিকর ছিল সীমা। তাই বাড়ি থেকে স্কুল, এক কিলোমিটার পথ পেরিয়েই স্কুলে যাবে বলে মনস্থির করে ফেলে সে। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে, মেঠো রাস্তা ধরে বেরিয়ে পড়ে সে। এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চলা একরত্তিকে দেখে পথচলতি মানুষ থমকে দাঁড়ালেও, সেই সব এড়িয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনো রপ্ত করে ফেলে সীমা।
আরও পড়ুন: Karnataka News: স্কুলজুড়ে লেখা 'সরি', কে লিখল এবং কেনই বা
উৎসাহের বশেই হয়ত একরত্তি মেয়ের এমন স্কুলযাত্রার কিস্সা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন কেউ। হাজার দেখনদারির মধ্যে এই নিষ্পাপ মেয়েটি মন জয় করে নেয় সকলের। সাধ্য মতো সাহায্যের প্রস্তাব নিয় এগিয়ে আসতে শুরু করেন অনেকেই। তাতেই টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের। সম্প্রতি বাড়িতে গিয়ে সীমাকে একটি ট্রাইসাইকেল উপহার দেন খোদ জেলাশাসক, যাতে ধীরে সুস্থে স্কুলে পৌঁছতে পারে সে। মেয়ের পড়াশোনায় সাহায্য করবেন বলে সীমার পরিবারকে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
সীমা জানিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। এক পায়ে লাফিয়ে স্কুলে পৌঁছতে শারীরিক কষ্ট হলেও, বই-খাতা খুলে বসলেই সমস্ত শ্রান্তি, অবসন্নতা দূর হয়ে যায় তার। বড় হয়ে অন্য কিছু নয়, শিক্ষিকাই হতে চায় পড়াশোনাপ্রেমী সীমা।
চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছে সীমা
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমা অনগ্রসর মহাদলিত সম্প্রদায়ের মেয়ে। তার বাবা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। মা স্থানিয় ইঁটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখা সীমা মন জয় করে নিয়েছে সকলের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বলিউড অভিনেতা তথা সমাজকর্মী সোনু সুদও সীমাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।