Uttar Pradesh News: ১ লক্ষ টাকার স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে ২১ লক্ষের চালান কাটা গেল, মাথায় আকাশ ভাঙল যুবকের, তার পর যা ঘটল…
Traffic Challan: ১ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে ২১ লক্ষ টাকার চালান হাতে পান যুবক।

মুজফ্ফরনগর: মাথায় ছিল না হেলমেট। সঙ্গে ছিল না প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও। সেই অবস্থায় স্কুটার নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়লেন তরুণ। মোটা টাকা চালান কেটে তাঁর হাতে ধরাল পুলিশ। আর সেই চালান হাতে পেয়েই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল ওই যুবকের। ১ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে ২১ লক্ষ টাকার চালান হাতে পান। সেই নিয়ে হইচই শুরু হলে নিজের অবস্থান জানাল পুলিশ। (Traffic Challan)
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। গত মঙ্গলবার হেলমেট, কাগজপত্র ছাড়াই স্কুটার নিয়ে বেরিয়েছিলেন আনমোল সিঙ্ঘল। নিউ মন্ডী এলাকায় তাঁকে ধরেন এক পুলিশ। তাঁর স্কুটারটি আটকে রাখা হয়। হাতে ধরানো হয় চালান। কিন্তু সেই চালান দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে আনমোলের। কারণ তাতে টাকার অঙ্ক লেখা ছিল ২০,৭৪,০০০, অর্থাৎ ২০ লক্ষ ৭৪ হাজার, প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। যে স্কুটারের জন্য় এতকিছু, তা যদিও ১ লক্ষ টাকাতেই কিনেছিলেন আনমোল। (Uttar Pradesh News)
কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চালানের একটি ছবি পোস্ট করেন আনমোল। স্কুটারের দাম ও চালানের অঙ্ক দেখে ভিরমি খান সকলেই। ওই চালানের ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। বিষয়টি চোখে পড়ে পুলিশেরও। আর তাতে জানা যায়, ভুলবশত ওই অঙ্ক লেখা হয়েছে। আসলে ৪০০০ টাকার চালান কাটা হয়েছে আনমোলের।
মুজফ্ফরনগরের পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অতুল চৌবে জানান, যে সাব-ইনস্পেক্টর চালানটি কাটেন, তিনি ভুল করে ফেলেছেন। আনমোলের ক্ষেত্রে মোটর ভেহিকলসের ২০৭ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সাব ইনস্পেক্টর ২০৭ লেখার পর ‘মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট’ কথাটি লিখতে ভুলে যান। ফলে ২০৭ এবং ৪০০০ জুড়ে গিয়ে ২০,৭৪,০০০ বলে ঠাহর হয়। আনমোলকে শুধুমাত্র ৪০০০ টাকাই দিতে বলা হয়েছে।
মোটর ভেহিকলস অ্যাক্টের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় নথি না থাকলে, গাড়ি আটকে রাখতে পারে পুলিশ। আনমোলের ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হয়েছিল। তবে বিপত্তি দেখা দেয় চালানে লেখা টাকার অঙ্ক নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ভুল স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আনমোলের স্কুটার এখনও থানাতেই রয়েছে। যদিও বিষয়টিকে লঘু করে দেখতে নারাজ স্থানীয়রা। তাঁদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে শোরগোল না বাধলে মোটা টাকাই খসত আনমোলের। পুলিশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।






















