By : abp ananda | Updated at : 12 Apr 2022 11:13 AM (IST)
ফাইল ছবি।
1/8
চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পবনপুত্র হনুমানের জন্মোৎসব পালন করা হয়। দেশজুড়ে ধুমধাম করে উদযাপন হয় দিনটি। ভগবান বিষ্ণুর অবতার রামের সাহায্যের জন্য রুদ্রের অবতার হনুমানের জন্ম হয়েছিল।
2/8
শ্রী রামের ভক্ত হিসেবেই জন্ম হয়েছিল হনুমানের। এই বছর ১৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী পালন করা হবে। বিশ্বাস করা হয় হনুমান অমর। অঞ্জনি পুত্র হনুমানকে নিয়ে নানা উপকথা-লোককথার প্রচলন রয়েছে। যা অনেক ভক্তই বিশ্বাস করে থাকেন।
3/8
বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল অধুনা কর্নাটক রাজ্যে। অধুনা কর্নাটকের কোপল জেলায় হাম্পির কাছে একটি গ্রামে জন্ম হয়েছিল তাঁর। ধর্মবিশ্বাস রয়েছে যে মাতঙ্গ মুনির আশ্রমে জন্ম হয়েছিল ভগবান হনুমানের।
4/8
ভগবান হনুমান ভগবান ইন্দ্রের বরপ্রদত্ত। বিশ্বাস করা হয়, হনুমান একমাত্র নিজের ইচ্ছেয় মৃত্যুবরণ করতে পারবেন বলে বর দিয়েছিলেন ইন্দ্র। ভগবান শ্রী রামও বর দিয়েছেন হনুমানকে। সেই বর অনুযায়ী যুগের শেষ হলে তবেই মুক্তি মিলবে হনুমানের। আবার সীতাদেবীর বর অনুযায়ী হনুমান চিরঞ্জীবী। বিশ্বাস করা হয়, মা সীতার বরদানের কারণেই দ্বাপর যুগে ভগবান হনুমানের উল্লেখ পাওয়া যায়। ওই যুগে ভীমের পরীক্ষা নিয়েছিলেন ভগবান হনুমান। কলিযুগেও ভগবান হনুমানের দর্শন পেয়েছিলেন কবি তুলসিদাস। ভগবৎ গীতায় উল্লেখ করা হয়েছে কলিযুগে গন্ধমাদন পর্বতে বাস করবেন ভগবান হনুমান।
5/8
ভক্তরা একাধিক নামে ডেকে থাকেন পবনপুত্র হনুমানকে। অঞ্জনিপুত্র, মারুতিনন্দন, বজরংবলী, কেশরিনন্দন, সঙ্কটমোচন-এরকম নানা নামে ডাকা হয় হনুমানকে। হনুমানের ১০৮টি নাম রয়েছে। হনুমানের ১০৮ নাম জপ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
6/8
ভগবান হনুমানের পরিচয় নানা গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায়। হনুমান চালিসা, বজরং বাণ থেকে হনুমানের স্তুতির কথা জানা যায়। কিন্তু মনে করা হয় সবার আগে হনুমানের আরাধনা করেছিলেন বিভীষণ। তিনিই প্রথম হনুমান স্তুচি করেন।
7/8
বিশ্বাস রয়েছে যে ভগবান শ্রী রামের ভক্ত হনুমান ব্রক্ষ্মচারী। কিন্তু ব্রক্ষ্মচারী হয়েও তিনি এক পুত্রের পিতা। পুরাণ অনুযায়ী, সীতার খোঁজে লঙ্কায় যাওয়ার সময় এক রাক্ষসের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয়েছিল। ওই রাক্ষসকে হারানোর পর তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তখন ভগবান হনুমানের স্বেদবিন্দু এক কুমিরের পেটে চলে যায়। তারপরেই মকরধ্বজ নামে এক পুত্রের জন্ম হয়।
8/8
ধর্মবিশ্বাসে রয়েছে যে শ্রী রামভক্ত হনুমান মা দুর্গারও সেবক। দেবী দুর্গার আগে হনুমান চলেন, পিছনে চলেন ভৈরব। দেশে যত মন্দির রয়েছে, তার কাছাকাছি ভগবান হনুমান ও ভগবান ভৈরবের মন্দির রয়েছে।