আধুনিক ব্যস্তময় যুগে অনেকেই সময়ে খাবার খেতে ভুলে যান বা সময়ে কুলিয়ে উঠতে পারেন না। কিন্তু, জানেন কি সময়ে খাবার না খেলে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে ?
2/10
কেউ যদি রাতের খাবার খেতে দেরি করে তাঁকে নানা রোগ-ভোগ করতে হতে পারে। কাজেই, আমরা যদি রাতের খাবার খাওয়ার সময়ের একটু হেরফের করে নিতে পারি, তাহলে তা শরীরে ম্যাজিকরে মতো কাজ করবে।
3/10
চেষ্টা করুন, সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ডিনার করে নিয়ে ১০টার মধ্যে শুয়ে পড়ার। তাতে কী ফল পাবেন দেখে নিন একনজরে।
4/10
পর্যাপ্ত ও ভাল ঘুম হবে। যেহেতু খাবার ও ঘুমের মধ্যে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ব্যবধান থাকছে, তাই প্রাথমিক হজম ইতিমধ্যেই হয়ে যাবে এবং ঘুমের সময় পরিপাকতন্ত্র অতিরিক্ত সময় কাজ করবে না। পরিপাকতন্ত্র প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পাবে।
5/10
ওজন ঝরবে। তাড়াতাড়ি ডিনারের জেরে অন্তর্বর্তী উপবাসের অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে। এর জেরে গ্লুকোজের পরিবর্তে শরীরের সঞ্চিত চর্বি থেকে শক্তির চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। অতএব, বিপাক সম্পন্ন হয় এবং শরীরের ওজন ঠিক থাকে।
6/10
আপনি যদি কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে তাড়াতাড়ি ডিনার সারার অভ্যাসে উপকৃত হবেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়া পাচনতন্ত্র এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সক্ষম।
7/10
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সকাল সকাল উঠতেও বেগ পেতে হবে না। ফলে, শরীরে অনেক এনার্জি পাবেন। কাজেও মন বসবে।
8/10
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় : যখন আমরা ঘুমানোর ঠিক আগে রাতের খাবার খাই, তখন তা রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। রক্তচাপ উচ্চমাত্রায় থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেলে (শোওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে) হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
9/10
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় : তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। এই ডায়াবেটিস তখনই হয়, যখন আমাদের শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। যখন আমরা ঘুমের ২-৩ ঘণ্টা আগে খাই, তখন আমাদের শরীর খাবারকে গ্লুকোজে রূপান্তর করে ইনসুলিনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
10/10
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : যাঁরা ঘুমানোর ঠিক আগে রাতের খাবার খান, সেইসব পুরুষের প্রস্টেট ক্যানসার এবং মহিলাদের স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা ১৫% বেশি।(ডিসক্লেমার : এগুলি পরামর্শমাত্র। এই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন)।