অষ্টমীতে সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপে একসঙ্গে অঞ্জলি দেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, তাঁর স্বামী নিখিল জৈন। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যিনি সুরুচির পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা। নুসরত, সৃজিত, মিথিলারা মণ্ডপ চত্বরে একসঙ্গে ঢাক বাজান, নাচেন। ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাতেন শারদোৎসবে।
2/9
গত বছরও সিঁদুর খেলায় অংশ নেন নুসরত। তারপরই তাঁকে ছেড়ে কথা বলেনি কট্টরপন্থী নেটিজেনরা। ২০১৭ সালেও পুজোয় অংশ নেওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে রীতিমতো কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। কিন্তু এসবকে তিনি যে মোটেই গুরুত্ব দেন না, তা প্রমাণ করে দেন কাজেই। সমালোচকদের পাত্তা না দিয়েই কখনও রথের রশি টানেন, ইদের আনন্দে গা ভাসান, আবার দুর্গা পুজোয় ঢাকও বাজান।
3/9
ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে তিনি এই সাজে কেন, তা নিয়ে একরাশ কথা শুনতে হয়।
4/9
পুজোর আগে ত্রিশূল হাতে দুর্গা-সাজে এই ছবিটি পোস্ট করেও কট্টরপন্থীদের রক্ষচক্ষু সহ্য করতে হয় নুসরতকে।
5/9
এর উত্তরে নুসরত ট্যুইটে লেখেন, তিনি সব ধর্মকেই সম্মান করেন। আর তাঁর পরিধান নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। তিনি সিঁদুর পরতেই পারেন।
6/9
এর আগেও বারবার নুসরতকে ট্রোলড হতে হয়েছে বিভিন্ন হিন্দু আচার পালনের জন্য। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ের পর সিঁদুর পরে সংসদে প্রথম বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই কট্টরপন্থীদের কড়া নজরে পড়েন তিনি। নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি হিন্দুদের মতো কেন সেজেছেন?
7/9
নুসরত নিজেও লালপাড়, সাদা শাড়ি পরে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন।
8/9
কিন্তু দমবার পাত্র-পাত্রী নন তাঁরা। দীপাবলিতে এই ছবিটি পোস্ট করলেন নিখিল জৈন। নুসরতের কপালে সিঁদুরের মঙ্গল টিকা।
9/9
বারবার ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের আক্রমণের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুরত জাহান। দোল-দুর্গোৎসব থেকে জন্মাষ্টমী-দীপাবলি, নুসরত পালন করেন শ্বশুরবাড়ির সব আচার অনুষ্ঠানই। সেইসব ছবি আপলোডও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই কারণে ট্রোলও হতে হয় নুসরতকে, বারবার। হুমকিও পেতে হয়েছে বহুবার।