WhatsApp : ভারতে পরিষেবা বন্ধ করবে হোয়াটসঅ্যাপ ! সরকারকে কি জানাল তারা ?

WhatsApp Meta shut down : জনপ্রিয় চ্যাট প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপ কি দেশে পরিষেবা বন্ধ করে পাততাড়ি গোটাতে চাইছে ? প্রশ্ন তোলা হল সংসদে।

জনপ্রিয় চ্যাট প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপ কি দেশে পরিষেবা বন্ধ করে পাততাড়ি গোটাতে চাইছে ? প্রশ্ন তোলা হল সংসদে

কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তঙ্খার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন ছিল, ব্যবহারকারীদের তথ্যাদি জানাতে হবে, এই মর্মে সরকার-প্রদত্ত নির্দেশিকার জেরে কি ভারত থেকে পরিষেবা গুটিয়ে নি্তে চলেছে হোয়াটস অ্যাপ ?

এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়, মেসেজ এনক্রিপশন ভাঙার কোনওরকম নির্দেশ সরকারের থেকে এলে, বাধ্য করা হলে, তারা এদেশে পরিষেবা বন্ধ করে দেবে।

নতুন IT নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় হোয়াটসঅ্যাপ ও মেটা। IT রুলের (৪/২) -কে চ্যালেঞ্জ করে তারা। আইন অনুযায়ী, আদালতের অর্ডার বা অন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের তরফে প্রয়োজনীয় নির্দেশ এলে কোনও তথ্যের উৎপত্তি কোথা থেকে, সেই সূত্র জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এই নিয়ম সংস্থার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নীতির বিরোধী। যা সম্ভব নয়।

হোয়াটস অ্যাপের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী তেজস কারিয়া আদালতে জানান, ব্যক্তিগত মেসেজ নিরাপদ, এই আশ্বাসের জন্যই এত গ্রাহক হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করেন।

তেজস কারিয়া আরও জানিয়েছিলেন, হোয়াটস অ্যাপকে যদি সরকারের এই নির্দেশ মানতে হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ মেসেজ বছরের পর বছর ধরে স্টোর করে রাখতে হবে। যে ব্যবস্থা পৃথিবীর কোথাও নেই।

সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, IT রুল ২০২১ যদি লাগু করা না হয়, ভুয়ো মেসেজের উৎপত্তিস্থল খোঁজা আইন-মান্যতা কারী এজেন্সিগুলির কাছে কঠিন হয়ে যাবে। এবং এই ধরনের মেসেজগুলি অন্যান্য মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়াবে, এতে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবার আশঙ্কাও বেড়ে যাবে।

শুক্রবার রাজ্যসভায় ইস্যুটি তোলেন কংগ্রেস সাংসদ বিবেক। লিখিতভাবে তার উত্তর দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

তিনি জানান, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেটা, সরকারের কাছে এরকম কোনও তথ্য বা পরিকল্পনার কথা জানায়নি। অর্থাৎ ভারতে পরিষেবা বন্ধ করা হবে, এরকম কোনও পরিকল্পনার কথা হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ সরকারকে জানায়নি।

পাশাপাশি মন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্র, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯ এ সেকশন মোতাবেক দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে, দেশের সুরক্ষায়, রাজ্যগুলির নিরাপত্তায়, অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জারি রাখতে এবং দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কম্পিউটার উদভুত এই ধরনের কোনও অপরাধমূলক তথ্যাদি সম্পর্কে এক নির্দেশিকা জারি করেছে ।